![]()
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য তার নিজ বাসভবনে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে অফিস চলাকালীন রেজিস্ট্রার দপ্তরের অ্যাডহকে এক প্রতিবন্ধীর চাকরি নিশ্চিত হলে সন্ধ্যার দিকে অন্য চাকরি প্রত্যাশীরা উপাচার্য ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন। জানা যায়, সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে ছয়জনের একটি দল উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্য তাদের চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে আশ্বস্ত না করলে বাইরে এসে তারা উপাচার্যের ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। বর্তমানে প্রায় ৩০ চাকরি প্রত্যাশী উপাচার্যের বাসভবনের সামনেই অবস্থান করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকরি প্রার্থী বলেন, ‘আমাদের ২০১৭ সাল থেকে উপাচার্য আশ্বাস দিয়ে আসছেন। কিন্তু চাকরি দিচ্ছেন না। উপাচার্য ঠিকই তার মেয়ে জামাতার চাকরি দিয়েছেন। আমাদের চাকরির বিষয় সামনে আসলেই তিনি বিভিন্ন অজুহাত প্রদর্শন করেন’। জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি আজ অ্যাডহকে একজনের চাকরি হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কেন চাকরি হচ্ছে না আমরা সেটি জানতে গিয়েছিলাম আমরা উপাচার্যের কাছে’। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে একজন প্রতিবন্ধী ছেলেকে চাকরি দেওয়ার জন্য। আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পালন করেছি। অন্যদের চাকরি দেয়া এ মুহুর্তে আমার পক্ষে অসম্ভব। কারণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় রাবি ক্যাম্পাসে সবধরনের নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছেন’। মতিহার থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে অনুরোধ জানান। পালাবদল/এমএ |