ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছ থেকে নিয়োগপত্র পেয়ে কনস্টেবল হয়েছিলেন দেশটির উত্তরপ্রদেশের যুবক। কিন্তু চাকরিজীবনের মাত্র কয়েক দিনের মাথায় ইস্তফা চেয়ে উপরমহলে চিঠি লিখেছেন তিনি। কনস্টেবলের লেখা ওই চিঠি পেয়ে অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলেই। আর হবেন না-ই বা কেন, ইস্তফা দেওয়ার এমন অদ্ভুত কারণ এর আগে কেউ শোনেননি!
জানা গিয়েছে, প্রশিক্ষণের পঞ্চম দিনে বাবার সঙ্গে দেওরিয়ায় পুলিশ সুপারের দফতরে গিয়ে হাজির হন ওই যুবক। হাতে ইস্তফার চিঠি। চিঠিতে যুবক সাফ জানিয়েছেন, সকাল ৮টায় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস রয়েছে তার। প্রশিক্ষণের জন্য রোজ ভোর ৪টায় ঘুম থেকে ওঠা তার পক্ষে সম্ভব নয়! ছেলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন বাবাও। শুধু তা-ই নয়, যুবকের বাবা আরও জানিয়েছেন, তার ছেলের বিএড ডিগ্রি রয়েছে। পুলিশের বদলে শিক্ষকতার চাকরি করতে চান তিনি।
দেওরিয়ার পুলিশ সুপার বিক্রান্ত বীরের জনসংযোগ কর্মকর্তা(পিআরও) মহেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, এসপির সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করতে চেয়ে জোরাজুরিও করছিলেন বাবা-ছেলে। কারণ জানতে চাইলে ওই সদ্যনিযুক্ত কনস্টেবল অকপটে জানান, তিনি সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে অভ্যস্ত নন! পুলিশ প্রশিক্ষণের শারীরিক পরিশ্রমও করতে চান না তিনি! অবশ্য মহেন্দ্রের পরামর্শে শেষমেশ সিদ্ধান্ত বদলেছেন যুবক। ইস্তফাপত্রটি জমা না দিয়েই ফিরে গিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কনস্টেবলের পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণ। গত ১৫ জুন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ লৌখনোতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপস্থিতিতে নবনির্বাচিত কনস্টেবলদের নিয়োগপত্র বিতরণ করেন। এক মাসের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষের পর নয় মাসের জন্য কনস্টেবলদের দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্বের প্রশিক্ষণের পর সরকারি পোস্টিং পাবেন তারা।