
জিটিএ সিক্স গেমের পোষ্টার। ছবি: রকস্টার গেমসের ওয়েবসাইট
বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় ভিডিও গেমস সিরিজ গ্র্যান্ড থেফট অটো'র (সংক্ষেপে জিটিএ নামে পরিচিত) নতুন পর্বের জন্য গেমারদের অপেক্ষার পালা যেন শেষ হচ্ছে না। আবারও এটি বাজারে আসার সময়সীমা পিছিয়েছে।
জিটিএ সিক্স নামের নতুন ওই গেমটির নির্মাতা রকস্টার গেমস গত বুধবার জানিয়েছে, আগামী বছরের নভেম্বরের আগে গেমটি বাজারে আসছে না।
আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
আরও দীর্ঘ হলো অপেক্ষা
সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করে রকস্টার গেমস জানায়, 'আমরা জানি, গেমাররা দীর্ঘদিন ধরে এই গেমের অপেক্ষায় আছেন। সেই অপেক্ষাকে আরও দীর্ঘ করতে বাধ্য হয়ে আমরা খুবই দুঃখিত। তবে আমরা মনে করি, বাড়তি মাসগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা গেম তৈরির কাজটি আরও সুন্দর করে ও নিখুঁতভাবে শেষ করতে পারব-যেমনটা আপনারা প্রত্যাশা করছেন।'
শুরুতে গেমটি ২০২৫ এর শেষ ভাগে বাজারে আসার কথা ছিল। পরবর্তীতে তা পিছিয়ে ২০২৬ এ নেওয়া হয়। এবার জিটিএ সিক্সের ২০২৬ সালের ১৯ নভেম্বরে বাজারে আসার ঘোষণা দিয়েছে রকস্টার গেমস।
এই ঘোষণার পর রাতারাতি মার্কিন পুঁজিবাজারে রকস্টারের মূল প্রতিষ্ঠান টেইক-টু ইন্টার্যাক্টিভের শেয়ারের দাম আট শতাংশ কমে যায়।
১৯৯৭ সালে প্রথম জিটিএ গেম বাজারে আসে।
অল্প সময়ের মধ্যে সিরিজটি গেমারদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বাংলাদেশেও এই গেমের অসংখ্য ভক্ত আছে।
বিশ্লেষকদের মতে, জিটিএর মূল আকর্ষণ কোন একজন ‘অপরাধীর’ ভূমিকায় গেমের জগতে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ। সিরিজের গেমগুলো যৌনতা ও সহিংসতাপূর্ণ কন্টেন্টের জন্য বিতর্কিত হয়েছে। আইনি ঝামেলাও পোহাতে হয়েছে নির্মাতাদের।
নতুন গেমের পটভূমিকা
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বর্ণিল ও জাঁকজমকপূর্ণ শহর মায়ামির আদলে তৈরি 'ভাইস সিটি'-কে ঘিরে জিটিএ সিক্সের কাহিনী তৈরি হয়েছে।
‘নারীবিদ্বেষী’ দুর্নাম কুড়ানো এই সিরিজে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় ভূমিকায় একজন নারী চরিত্রকে দেখা যাবে।
গেমের ট্রেলারে দেখা গেছে নারী চরিত্র লুসিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন।
দেড় মিনিটের ওই ক্লিপের শেষের দিকে লুসিয়া তার বন্ধু জেসনকে বলেন, “এখান থেকে বের হয়ে আসার একমাত্র উপায় হলো একসঙ্গে কাজ করা। একটি দল হিসেবে কাজ করা।”
এরপর মুখোশ পরিহিত ওই দুই চরিত্রকে পিস্তল হাতে একটি দোকানে ঢুকে পড়তে দেখা যায়।
সমালোচকরা জিটিএ সিরিজের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে শৈল্পিক রূপ দেওয়া ও গেমারদের অপরাধমূলক কাজে জড়ানোর উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। তবে নিউইয়র্ক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টেইক-টু ইন্টার্যাকটিভ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জিটিএ সিরিজে গেমাররা মাদক বিক্রি, মারামারি, চুরি, ডাকাতি, গাড়ি চালিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সুযোগ পান, যা সমালোচিত হয়েছে।
পালাবদল/এসএ