
প্রতীকী ছবি
নোয়াখালী: দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাগলার চরে দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ নিহত একজনের পরিচয় জানাতে পেরেছে। নিহতদের মধ্যে আলাউদ্দিন (৩৫) উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর আমান উল্যাহ গ্রামের ছেরাং বাড়ির মহিউদ্দিনের ছেলে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী জাগলার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাতিয়া উপজেলার জাগলার চরের জমির বন্দোবস্ত সরকার এখন পর্যন্ত কাউকে দেয়নি। এ সুযোগে ৫ আগস্টের পর জাহাজমারা ইউনিয়নের ‘কোপা সামছু বাহিনী’ জাগলার চরের বেশকিছু জমি দখল ও বিক্রি করে দেন। এরপর সুখচর ইউনিয়নের ‘আলাউদ্দিন বাহিনী’ জাগলার চরের জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। একপর্যায়ে আলাউদ্দিন বাহিনী আরও বেশি দামে কিছু জমি বিক্রি করে। এরপর দুটি গ্রুপ আলাদা আলাদা ভাবে চরের জমি দখল করে বিক্রির চেষ্টা চালায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, চরে আধিপত্য বিস্তার ও চর দখলে নিয়ে আলাউদ্দিন ডাকাত ও কোপা সামছু বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। তারই জেরে উভয়পক্ষ আজ সকাল ১০টার দিকে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়।
ওসি সাইফুল আলম নিহত আলাউদ্দিনের পরিচয় নিশ্চিত করে জানান, নিহত বাকি চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনতে পুলিশ ঘটনাস্থল রয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, “জাগলার চর দখল নিয়ে আলাউদ্দিন ডাকাত ও কোপা সামছু বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আলাউদ্দিন বাহিনীর গুলিতে চারজন ও প্রতিপক্ষের গুলিতে আলাউদ্দিন নিহত হন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দুপুর ২টার দিকে আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে হাতিয়া থেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার মরদেহ মর্গে রয়েছে।”
পালাবদল/এসএ