
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, এস এন তরুণ দে ও আক্তার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সরাইল, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত এ আসনটি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সমঝোতা অনুযায়ী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেখানে বিএনপি প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও রুমিন ফারহানা নির্বাচনে থাকার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।
সেই সঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সদস্য এস এন তরুণ দে ও জেলা বিএনপির সদস্য আক্তার হোসেনও এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।
আজ গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জোটগত সমঝোতার অংশ হিসেবে চারটি আসন জোটসঙ্গী দলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ওই আসনগুলোতে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। তিনি আরও বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমঝোতা অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব খেজুর গাছ মার্কায় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এর আগে দুই দফায় বিএনপি ২৭২টি আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি ফাঁকা ছিল। এরপর থেকেই স্থানীয় নেতাকর্মীরা ধরে নেন, আসনটি জোটসঙ্গী দলের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যেও রুমিন ফারহানা এলাকায় তার নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যান।
গত শুক্রবার সরাইল উপজেলার বিটঘর বাজারে আয়োজিত দোয়া ও মতবিনিময় সভায় তিনি দলীয় প্রতীক না পেলেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন রুমিন ফারহানা। রুমিন ফারহানা আজ বলেন, “আমি ২০১৫ সাল থেকে এই আসনে বিএনপির হয়ে কাজ করছি। এখানকার মানুষের সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সে কারণেই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব।”
বিএনপির অন্য দুই সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী তরুণ দে ও আক্তার হোসেন জানান, এই আসনে খেজুর গাছ প্রতীকের কোনো জনসমর্থন নেই। দুজনেই দীর্ঘদিন ধরে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। দল মনোনয়ন না দিলেও আসন্ন নির্বাচনে তারা নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে দেখতে চান।
তবে স্থানীয় দলের নেতারা ভিন্ন মত পোষণ করছেন। সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরজ্জামান লস্কর তপু বলেন, তারা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলবেন এবং কেন্দ্রীয় নির্দেশনার বাইরে যাবেন না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৮ জন। এর মধ্যে সরাইলে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৯ জন, আশুগঞ্জে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯ জন এবং বিজয়নগর উপজেলার দুই ইউনিয়নে ৫৭ হাজার ৭৪০ জন ভোটার রয়েছেন।
পালাবদল/এসএ