
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত কয়েকদিনের ঘটনায় দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। তারা আবার নতুন করে ভাবছেন, নির্বাচন আদৌ হবে কি?
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন-মৈত্রী সম্মেলনে দ্য ডেইলি স্টার আয়োজিত ‘স্টার নির্বাচনী সংলাপ’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের সংগ্রাম, রক্তপাত, ত্যাগ, নির্যাতন-নিপীড়ন ও সবশেষে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশের মানুষ সবসময় নির্বাচন খুব পছন্দ করি। কিন্তু গত ১৫ বছরে এমন একটা অবস্থা তৈরি করা হয়েছে যে, নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে পারলে মানুষ যেন বেঁচে যায়। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, দুর্ভাগ্যক্রমে সেই সুযোগটাও যেন আমরা প্রায় হারাতে বসার উপক্রম হয়েছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা যখনই একটা সুযোগ পাই, তখনই কিছু মহল, কিছু ঘটনা সেই সুযোগগুলো বিনষ্ট করে দেয়। আমরা সেই সম্ভাবনাকে দূর করে সত্যিকার অর্থেই আশার সঙ্গে নির্বাচনের দিকে যেতে চাই। ”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “বিএনপি প্রথম থেকেই নির্বাচনের ওপর জোর দিয়ে আসছিল। এজন্য আমাদের অনেকেই আবার খোঁটা দিয়েছেন। বলেছেন-বিএনপি শুধু নির্বাচনে যেতে চায়, ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু এখন এটা প্রমাণিত-বিলম্বের কারণে অনেক ঘটনা তৈরি হয়েছে, অনেক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচন বানচাল করে দেওয়ার।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্বাচনমুখী দল। আমরা সবসময় নির্বাচন চেয়েছি। আমদের অতীত অভিজ্ঞতা রয়েছে নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যাওয়ার, সে কারণেই আমরা আগে থেকেই কিছু কাজ শুরু করেছি। আমরা এত নির্যাতনের মধ্যেও আমাদের মূল জায়গাগুলো থেকে সরে যাইনি। অর্থাৎ ২০১৬ সালে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া “ভিশন-২০৩০“ নামে একটা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। এখন সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে যে বিষয়গুলো এসেছে, তার অনেকগুলোই সেখানে ছিল। রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন করা দরকার, এটা আমরা তখনই উপলব্ধি করেছি। উপলব্ধি করেই আমরা কিন্তু তখন ‘ভিশন-২০৩০’ দিয়েছি।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা অর্থনীতির জন্য একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ পেপার তৈরি করেছি। যে পেপার ইতোমধ্যেই আমরা বিভিন্ন জায়গায় দিয়েছি। আমরা মনে করি, এই পরিকল্পনাগুলো ক্রাইসিসটা কাটিয়ে বাংলাদেশকে স্থিতিশীল জায়গায় নিতে পারব। আমি জানি, এটা এক-দুই দিনে সম্ভব না, কিন্তু পাঁচ বছরে আমরা পর্যায়ক্রমে সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারব।”
পালাবদল/এসএ