
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
ঢাকা: সম্মুখ সারির জুলাই যোদ্ধা শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে অবিলম্বে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করার দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ সোমবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর শাহবাগে শহীদ হাদি চত্বরে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ওসমান হাদির জানাজা থেকে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বা সংশ্লিষ্টরা আসামিদের গ্রেপ্তারে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখাতে পারেননি।
তিনি অভিযোগ করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বা তার বিশেষ সহকারী কাউকেই দেখা যায়নি, যা হাদি হত্যার ঘটনাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার শামিল।
তিনি আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টরা দায়িত্ব অবহেলা করছেন এবং কেবল দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করার পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে আরও দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-তদন্তের স্বচ্ছতার স্বার্থে প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই ও যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পেশাদার সংস্থার সহায়তা নেওয়া।
দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করে আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, “জনগণের করের টাকায় চলা গোয়েন্দা সংস্থা যদি খুনিদের চিহ্নিত করতে না পারে, তবে তাদের রাখার প্রয়োজন নেই।”
তিনি সিভিল ও মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের ভেতরে থাকা আওয়ামী দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব বলেন, “নির্বাচনের আগে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যদি বিচার নিশ্চিত করতে না পারেন, তবে জনগণ রক্ত দেওয়া শুরু করলে তা আর থামানো যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, আজ বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে- তারা সরকারের সঙ্গে থাকবেন, নাকি সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করবেন।
ওসমান হাদির খুনি ও তাদের মদদদাতাদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করা হয়।
৩ দফা দাবি
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৩ দফা দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সেগুলো হলো-
১. দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হবে। তদন্তের জন্য এফবিআই অথবা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের মতো পেশাদারি এবং নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সংস্থাকে যুক্ত করতে হবে।
২. সিভিল-মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
৩. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, বিশেষ সহকারী এবং আইন উপদেষ্টাকে জনগণের কাছে তাদের অপারগতার কারণ প্রকাশ করে এই খুনের সকল দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে।
পালাবদল/এমএম