
রাখাইনে বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ম্রাউক-ইউ জেনারেল হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ম্রাউক-ইউ শহরে একটি হাসপাতালে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৭৬ জন।
আরাকান আর্মি ও স্থানীয়দের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ম্রাউক-ইউ জেনারেল হাসপাতাল লক্ষ্য করে সামরিক বিমান থেকে ৫০০ পাউন্ডের দুটি বোমা ফেলা হয়। একটি বোমা রোগীদের ওয়ার্ডে ও অপরটি হাসপাতালের ফার্মেসিতে আঘাত করে।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুখা জানান, নিহতদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারী। এক মাস বয়সী এক শিশুও রয়েছে।'
বলেন, “মরদেহের অবস্থা খারাপ হওয়ায় কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।”
আহতদের মধ্যে ২৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান আরাকান আর্মির মুখপাত্র।
খাইং থুখা বলেন, “নিহতদের বেশিরভাগই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ছিলেন। রাখাইনে প্রায় সব যুদ্ধে হেরে যাওয়ার কারণে জান্তা বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমা হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে।”
এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ উল্লেখ করে জান্তাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সাহায্যকর্মী ওয়াই হুন অং বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, জান্তা সরকার ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন করতে চায়। অথচ এমন সময়ে নির্মমভাবে মানুষ হত্যা করছে।
হামলায় স্ত্রী, পুত্রবধূ ও বাবাকে হারিয়েছেন ৬১ বছর বয়সী মং বু। তিনি এএফপিকে বলেন, “কেউ একজন আমাকে জানায় হাসপাতালে বোমা হামলা হয়েছে। ওই সময় ওইখানে আমার পরিবার ছিলো। আমি বুঝতে পারি কেউ আর বেঁচে নেই।”
আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে মিয়ানমারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে জান্তা সরকার। তবে এ নির্বাচন কেবলমাত্র তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে হচ্ছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, রাখাইনে ১৭টি শহরের মধ্যে ৩টি বাদে বাকি সবগুলো আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে।
পালাবদল/এসএ