
হোয়াইট হাউস সফর শেষে ট্রাম্পকে আলিঙ্গন করছেন নরেন্দ্র মোদি। ফাইল ছবি: রয়টার্স (২০১৭)
রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার অপরাধের শাস্তি হিসেবে গত আগস্টে ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সে সময় নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘দেশী’ পণ্যে নজর দিতে ও স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার আহ্বান জানান।
এরপর ট্রাম্প কয়েকবার ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ও মোদিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও কার্যকর নেতা হিসেবে আখ্যা দিলেও এখনো দুই দেশের সম্পর্ক শীতল রয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের। তবে এই ধারার বিপরীতে গতকাল বুধবার জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ট্যাংক-বিধ্বংসী জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও এক্সক্যালিবার কামানের গোলা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
৯ কোটি ৩০ লাখ ডলারের এই চুক্তিতে ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ)। আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওই ঘটনার পর এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ভারতে নির্মিত তেজস যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন কেনার জন্য মার্কিন প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিকের সঙ্গে বড় অংকের চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি।
এই বিক্রি সংক্রান্ত বিবৃতিতে ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা অংশীদার আখ্যা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভারত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শান্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে উল্লেখ করে এতে আরও জানানো হয়, অস্ত্র বিক্রির এই উদ্যোগ ওয়াশিংটনের বৈদেশিক নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা লক্ষ্য পূরণ করবে।
ডিএসসিএ জানিয়েছে, ভারত সরকার ২১৬টি এক্সক্যালিবার ট্যাকটিকাল প্রজেক্টাইল (কামানের গোলা) ও ১০০টি জ্যাভেলিন সিস্টেম কেনার অনুরোধ জানিয়েছে। ইতোমধ্যে এম-৭৭৭ হাউইৎজার কামানে ওই গোলা ব্যবহার করছে ভারত।
ভারত মূলত আরটিএক্স গ্রুপ থেকে কামানের গোলা ও লকহিড মার্টিনের কাছ থেকে জ্যাভেলিন সিস্টেম সংগ্রহ করবে।
পালাবদল/এসএ