
ফাইল ছবি
ঢাকা: সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনের মাধ্যমে প্রবর্তিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া ১৪ বছর আগের রায় বাতিল ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের বেঞ্চ ২০১১ সালের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি পৃথক আপিল এবং চারটি পুনর্বিবেচনা আবেদন মঞ্জুর করে সর্বসম্মতিক্রমে এ রায় দেন।
এই রায়ের মধ্য দিয়ে ২০১১ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন, আদালত সেটি আবার চালু করলেন। ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল।
ত্রয়োদশ সংশোধনীর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, যা মাত্র ৯০ দিনের জন্য দায়িত্বে থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। আর চতুর্দশ সংসদ নির্বাচনের আগে এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায় পূর্ণাঙ্গ প্রকাশের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য প্রণীত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এ রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) করার জন্য বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তি আবেদন করেন।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
পালাবদল/এসএ