
এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে—রাজনৈতিক দলগুলোকে তিন ধাপে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন।
প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'যে দল এটা করবেন না, আমরা মনে করব যে নিয়ত সাফ না।'
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সম্মেলন কক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন কমিশন ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছে। প্রথম দফায় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
কমিশনের চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সকালে আমন্ত্রিত দলগুলো হলো-লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
এছাড়া, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্টের (বিএনএম) বিকেলে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ-একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়েই এটা দিতে হবে। মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা আমাদের দরকার হবে। কেননা মূল প্লেয়ারদের সহযোগিতা না পেলে এটা (নির্বাচন) প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, '“একটি বিষয় এখানে পরিষ্কার করা দরকার, যখন একটি দল নির্বাচনের কমিশনের নিবন্ধন পাবে, আমরা যখন গেজেট করব; এখন ৫৪টি নিবন্ধিত দল আছে। এই ৫৪টি দল আমাদের কাছে বড়-ছোট নাই, ৫৪টি দলই আমাদের কাছে সমান। আমরা সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চাই। কারণ বড়-ছোট মাপার ক্রাইটেরিয়া আমাদের কাছে নাই।”
সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার লাগানোর সমালোচনা করে সিইসি বলেন, “আমরা এখন দেখি ঢাকা শহরে অনেক ক্ষেত্রে ছেয়ে গেছে-ইতোমধ্যে পোস্টার-টোস্টার লাগিয়ে...অথচ আমরা পোস্টার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি এখানে। আমরা এটা মিডিয়াতে জানিয়ে দিয়েছি, যদিও আচরণবিধি অনুমোদন হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন ছবি-টবি দিয়ে...এখন ধরেন, এগুলো সরাতে হবে আমাদের। এ ধরনের পোস্টার আমরা মেনে নেব না, আগে-ভাগেই আমরা জানিয়ে দিচ্ছি।”
“যারা লাগিয়েছেন, দয়া করে নিজেরাই সরাতে পারেন এবং এটাই হবে ভদ্র আচরণ এবং আর যাতে কেউ পোস্টার না লাগান। আমাদের আচরণবিধি যখন প্রকাশ হয়ে গেছে, আচরণবিধি অনুযায়ী দয়া করে আপনারা বিহ্যাভ করবেন,” যোগ করেন তিনি।
প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, “যে দল এটা করবেন না, আমরা মনে করব যে নিয়ত সাফ না।”
কমিশন কঠোর হবে এবং এসব কোনো ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আমরা কোনো বাছবিচার করব না।
তিনি বলেন, “যেখানে ব্যত্যয় হবে, আমরা কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়বো যখন তফসিল ঘোষণা হবে। সে জন্য আমরা আশা করব, ভদ্রজনচিতভাবে এখন থেকেই (পোস্টার) নিজেরগুলো নিজে সরিয়ে ফেলা এবং আর না লাগানো।”
পালাবদল/এসএ