
সংগৃহীত ছবি
পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলার ঘটনার পর শ্রীলঙ্কা দলের দলের বেশ কয়েকজন সদস্য দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তবে তাদের পাকিস্তানে থেকেই সফর চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)।
বুধবার (১২ নভেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসএলসি জানায়, পাকিস্তান সফররত জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন সদস্য নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে দেশে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন বলে তারা টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে জানতে পেরেছে।
বিবৃতিতে বোর্ড জানায়, খেলোয়াড়দের উদ্বেগের বিষয়ে তারা সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তাদের আশ্বস্ত করেছে যে 'পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে সফরকারী দলের প্রতিটি সদস্যের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'
তবুও এসএলসি নির্দেশ দিয়েছে, খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্ট সবাইকে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সফর চালিয়ে যেতে হবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কেউ যদি এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে দেশে ফিরে যান, তাহলে সিরিজ নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে বিকল্প খেলোয়াড় পাঠানো হবে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, 'যদি কোনো খেলোয়াড় বা সাপোর্ট স্টাফ সদস্য এসএলসির নির্দেশনা সত্ত্বেও ফিরে যান, তবে তাদের আচরণ পর্যালোচনার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত করা হবে এবং তদন্ত শেষে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
এর আগে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, ইসলামাবাদের একটি আদালতের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হওয়ার পর বেশ কয়েকজন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তান ছয় রানে শ্রীলঙ্কাকে হারায়। একই ভেন্যুতে বৃহস্পতিবার ও শনিবার অনুষ্ঠিত হবে বাকি দুটি ম্যাচ। এরপর জিম্বাবুয়েকে নিয়ে শুরু হবে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ, যা চলবে ১৭ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত।
এই পরিস্থিতি আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০০৯ সালের লাহোর সন্ত্রাসী হামলার কথা, যখন বন্দুকধারীরা শ্রীলঙ্কান দলের বাসে হামলা চালিয়ে ছয়জন খেলোয়াড়কে আহত করেছিল। ওই ঘটনার পর প্রায় এক দশক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পাকিস্তান থেকে নির্বাসিত ছিল।
পালাবদল/এসএ