
সংগৃহীত ছবি
চট্টগ্রাম: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে কাস্টমস কর্মকর্তা উত্তম কুমার ও তার স্ত্রী শিল্পী রানী সরকারের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শিল্পী রানী সরকারের বিরুদ্ধে স্বামীর অবৈধ আয়ে অর্জিত ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই সম্পদের কোনো বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর শিল্পী রানী দুদকে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। তবে দুদকের যাচাইয়ে তার নামে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। দায় বাদ দেওয়ার পর তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ কোটি ১ লাখ টাকা। দুদকের অনুসন্ধান অনুযায়ী, তার বৈধ আয় ছিল ২১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। বাকি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের কোনো ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি।
এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়, শিল্পী রানী তার কর নথি ও দুদকে দাখিল করা ঘোষণাপত্রে চাকরি এবং ব্যবসার নামে ভুয়া আয়ের উৎস দেখিয়ে সম্পদ অর্জনের বিষয়টি বৈধ করার চেষ্টা করেছেন।
অন্যদিকে, উত্তম কুমারের বিরুদ্ধে ১৭ লাখ ২৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
দুদকে তিনি ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকার সম্পদ ঘোষণা করেন। তবে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত তার আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুযায়ী, বৈধভাবে ৩৮ লাখ ৬২ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের হিসাবে পাওয়া যায়। বাকি ১৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
উত্তম কুমার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
পালাবদল/এসএ