
ইসলামাবাদে আদালত ভবনের সামনে বিস্ফোরণে গাড়িটি পুড়ে যায়। ছবি: এএফপি
ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আদালত ভবনের সামনে পুলিশের গাড়ির কাছে এ হামলা হয়। এতে ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।
টিটিপি এক বিবৃতিতে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি জানান, হামলাকারী পুলিশের একটি গাড়ির কাছে বিস্ফোরণ ঘটায়। নিহতদের মধ্যে আইনজীবী ও পথচারীও রয়েছেন।
দেশটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম বড় হামলা। বিস্ফোরণের পর এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, রাস্তা জুড়ে ভাঙা কাঁচ ও পোড়া গাড়ি পড়ে থাকে।
দায় স্বীকার করে বিবৃতিতে টিটিপি জানায়, পাকিস্তানের আইন ইসলামিক নয়। এই আইন অনুযায়ী রায় প্রদানকারী বিচারক, আইনজীবী ও কর্মকর্তারা তাদের লক্ষ্যবস্তু। ইসলামী আইন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এমন হামলা অব্যাহত থাকবে হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী মোহাম্মদ শাহজাদ বাট বলেন, “ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়, সবাই আতঙ্কে ভেতরে দৌড়াতে শুরু করে। আমি সদর গেটে কয়েকজনের মরদেহ দেখেছি।”
আরেক আইনজীবী রুস্তম মালিক জানান, আদালতের গেটে তিনি দুটি মরদেহ ও জ্বলতে থাকা কয়েকটি গাড়ি দেখেছেন।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আধাসামরিক বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “ইসলামাবাদের এই হামলাটি আমাদের জন্য এক জাগরণের আহ্বান। বর্তমান পরিস্থিতিতে কাবুল সরকারের সঙ্গে সফল আলোচনা আশা করা অবাস্তব।”
ইসলামাবাদ কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানকে পাকিস্তানি তালেবান ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে, যা কাবুল অস্বীকার করেছে।
হামলাটি এমন এক সময় ঘটল, যখন আফগান সীমান্তের কাছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। সোমবার ওয়ানা জেলায় এক হামলায় তিনজন নিহতও হয়েছেন।
পালাবদল/এসএ