
তারেক রহমান। ফাইল ছবি
ঢাকা: দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে রাজধানীজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দলটির পক্ষ থেকে ৫০ লাখ মানুষ জমায়েতের প্রস্তুতি চলছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান ও তার পরিবার লন্ডন সময় আজ সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন। সিলেট হয়ে ফ্লাইটটি আগামীকাল দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফিট: অভ্যর্থনা ও রুট
বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তারেক রহমানকে স্বাগত জানাবেন। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় যাবেন। বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফিট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা তাকে সংবর্ধনা জানাবেন। ৩০০ ফিট এলাকায় তৈরি মঞ্চে তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। সেখানে কেবল তারেক রহমানই বক্তব্য দেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জনসভা শেষে তিনি সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখানে চিকিৎসাধীন মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করবেন। মায়ের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় উঠবেন।
নিরাপত্তা ও জনসমাগম
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, তারেক রহমানের আগমনে ঢাকায় প্রায় ৫০ লাখ মানুষের সমাগম আশা করছে দলটি। জনস্রোত সামাল দিতে এবং তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে বিএনপি।
বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত তারেক রহমানের নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এ কে এম শামসুল ইসলাম। তার নেতৃত্বে চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সসহ (সিএসএফ) ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবেন।
তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের জন্য বিমানবন্দর এলাকা, পূর্বাচল, কাঞ্চন ব্রিজ, আবদুল্লাহপুর, বনানী ও মহাখালীসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় এক হাজার মাইক লাগানো হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে হাজারো বিলবোর্ড ও তোরণ।
বিমানবন্দরে কড়াকড়ি
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দর্শনার্থীদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। কেবল যাত্রীরাই এই সময়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
এদিকে নেতাকর্মীদের ঢাকায় আনতে রেলওয়ে থেকে ১০টি ট্রেন ভাড়া নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার, জামালপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ভৈরব, পঞ্চগড়, খুলনা, রাজশাহী ও যশোরসহ বিভিন্ন রুট থেকে এসব ট্রেন ঢাকায় আসবে। এ ছাড়া বাস ও লঞ্চে করেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন।
পালাবদল/এসএ