
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেকে সারারাত ভ্রমণ করে ঢাকায় পৌঁছে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে সকাল থেকেই দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেকে সারারাত ভ্রমণ করে ঢাকায় পৌঁছে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে আসা ৬০ বছর বয়সী রুহুল আমিন ভোর প্রায় ৪টার দিকে রাজধানীতে পৌঁছান।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “২০০৮ সালে ময়মনসিংহে এক অনুষ্ঠানে আমি খালেদা জিয়াকে দেখেছিলাম। আজ তার ছেলে তারেক রহমান দেশে ফিরছেন, তাই তাকে দেখতে এসেছি।”
তিনি আরও বলেন, “মঞ্চের সামনে এত ভিড় যে কাছে যাওয়া সম্ভব নয়। ভেবেছিলাম তাকে চোখে দেখব, সেটা আর হচ্ছে না। তাই মাইকে তার ভাষণ শুনব। এটুকুতে আমি খুশি।”
রুহুল আমিন জানান, ভালুকা এলাকা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনটি বাস অনুষ্ঠানে এসেছে।
তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সমর্থক। ভোরে খুব শীত ছিল। বয়সের কারণে কষ্ট হয়েছে, কিন্তু দলের জন্য এই কষ্ট সহ্য করেছি।”
আজ সকাল থেকে মঞ্চের সামনে এবং ৩০০ ফুট সড়কজুড়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
নীলফামারীর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী বাবু বলেন, আগের রাতে ট্রেনে করে ঢাকা এসে ভোর ৪টার দিকে অনুষ্ঠানে পৌঁছান।
তিনি বলেন, “আমি তারেক রহমানকে দেখতে এসেছি। আজ আমাদের কাছে ঈদের মতো দিন।”
ঢাকার শ্যামপুর এলাকার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি পারভীন আক্তার বলেন, তার এলাকা থেকে প্রায় ৫০০ নারী নেতাকর্মী এসেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা স্লোগান দিচ্ছি এবং তারেক রহমানের আসার অপেক্ষায় আছি।”
সাতক্ষীরা থেকে আসা আফসার আলী সরদার বলেন, তিনি অন্তত একবার তারেক রহমানকে দেখতে চান।
তিনি বলেন, “আমি আগে কখনও তাকে সরাসরি দেখিনি। আজ তাকে দেখতে পাব বলে আশা করছি।”
সকাল থেকে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে, যা ৩০০ ফুট সড়ক নামে পরিচিত, সেখানে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানের দিকে এগোতে থাকেন।
সকাল প্রায় ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে তাদের মঞ্চের দিকে যেতে দেখা যায়।
অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রায় দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত আছে। পাশাপাশি পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন।
সড়কের পাশে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের ছবি সম্বলিত পোস্টার টানানো হয়েছে।
মঞ্চের বক্তব্য শোনানোর জন্য বিমানবন্দর এলাকা ও আশপাশে প্রায় ১ হাজার মাইক বসানো হয়। পাশাপাশি বড় বড় পর্দায় সরাসরি অনুষ্ঠান দেখার ব্যবস্থা আছে।
পালাবদল/এসএ