
ফাইল ছবি
ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোট ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এ ফাটল ধরেছে। বড় দুই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে শরিকদের মধ্যে এই মতভেদ দেখা দিয়েছে। নেতারা বলছেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধে এখন এই দুই জোট অস্তিত্বের হুমকিতে আছে।
গত ৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই জোটের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বরের মাত্র পাঁচ দিন আগে এই সংকট সামনে এল।
জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এনসিপি ও এবি পার্টি বড় দুই দল বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার পক্ষে। তবে এতে আপত্তি জানিয়েছে জোটের আরেক শরিক রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “আমরা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করছি।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এবি পার্টির এক নেতা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও এনসিপি যদি নিজেদের মধ্যে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে, তবে তার দল যেকোনো বড় দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে রাজি।
তবে বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে নারাজ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া বলেন, “সোমবার রাতে এনসিপি আমাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা বিএনপি বা জামায়াত-কারও সঙ্গেই আসন ভাগাভাগিতে রাজি নই।”
জোট ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে দিদার ভুঁইয়া বলেন, “এনসিপি এই জোটের একটি বড় দল। তারা যদি অন্য কোনো জোট বা দলের সঙ্গে সমঝোতা করে, তবে এই জোট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেঙে যাবে।” গত রাতেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল।
এনসিপির দলীয় সূত্র জানিয়েছে, তারা বিএনপি ও জামায়াত-উভয় দলের কাছেই অন্তত ২০টি করে আসন চেয়েছে। তবে বিএনপি ৬-৭টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি নয়। অন্যদিকে জামায়াত প্রায় ৩০টি আসন ছাড়তে প্রস্তুত। তবে এনসিপি বিএনপির সঙ্গে যেতেই বেশি আগ্রহী।
সূত্র আরও জানায়, বিএনপির কাছে ঢাকা-৯, ১০ ও ১১ আসন চেয়েছে এনসিপি। তবে এসব আসনে বিএনপি ইতিমধ্যে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করায় আলোচনা এখনো চলছে।
সারোয়ার তুষার বলেন, “সার্বিক বিষয়ে আলোচনা চলছে। আশা করি, শিগগিরই আমরা একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।”
উল্লেখ্য, জোট গঠনের পর গত ১০ ডিসেম্বর এনসিপি ১২৫টি আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল।
পালাবদল/এসএ