![]()
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের দুর্গম চরাঞ্চলে জুয়ার আসরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গভীর যমুনা নদীতে তিন জন জুয়াড়ি নিখোঁজ হন। উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের চর বাশুরিয়া এলাকার যমুনা নদীতে জেগে ওঠা চরে গত বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর শনিবার খবর পেয়ে পুলিশ ও ডুবুরি দল সারাদিন ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। গত দুদিনে পুলিশ নিখোঁজ কাউকে উদ্ধার করতে না পারলেও ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহে দুই জনকে আটক করে। স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নে চর বাশুরিয়া এলাকায় গভীর যমুনায় জেগে উঠা চরে দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর চলে আসছিল। পাশের তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জকে প্রতি রাতে মোটা অঙ্কের মাসোহারা দিয়ে জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৪০-৫০ জন জুয়াড়ি প্রতিদিন দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বাজিতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার জুয়ার আসর চালাতো। জুয়ার আসরে আধিপত্য বিস্তার ও টাকার ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জুয়াড়িদের পৃথক তিনটি গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে জীবন রক্ষার তাগিদে কান্দারপাড়া গ্রামের শামছুল হকের পুত্র ছানোয়ার হোসেন সানু(৪৫), ভুয়াপুর গোবিন্দদাস গ্রামের আব্দুল বারিকের পুত্র ফজল(৪০) ও গোপালপুর উপজেলার শাঁখারিয়া এলাকার জমষের আলী খাঁনের পুত্র হাফিজুর রহমান খাঁন(৪৮) নদীতে ঝাঁপ দেন। সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন জুয়াড়ি আহত হন। আজ রোববার বিকেলে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ যমুনা নদী থেকে তিনজনের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলা চলার সুযোগ করে দেয়ার অপরাধে তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এস আই ইউনুস ও কনেস্টেবল মনিরকে গত রাতেই স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। পালাবদল/এমএম
|