লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে স্থল হামলা শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, তারা সীমান্ত এলাকায় হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ‘সীমিত’ অভিযান শুরু করেছে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী একটি বিবৃতিতে বলেছে, যে তারা সীমান্তের কাছাকাছি দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোতে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সীমিত স্থল অভিযান শুরু করেছে। তাদের দাবি, এসব জায়গা থেকে হামলা হলে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা হুমকির মুখে থাকেন।
তারা আরো বলেছে, বিমানবাহিনী এবং আর্টিলারি স্থল বাহিনীকে সহায়তা করছে।
লেবাননের সীমান্ত শহর আইতা আল-শাবের স্থানীয় বাসিন্দারা ভারী গোলাবর্ষণ এবং হেলিকপ্টার ও ড্রোনের আওয়াজ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। আকাশে দফায় দফায় ফ্লেয়ার জ্বালানোয় আলোকিত হয়ে ওঠে লেবাননের সীমান্ত শহর রমেশের আকাশ।
এর আগে সোমবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট উত্তর ইসরাইলের স্থানীয় কাউন্সিলের নেতাদের বলেন, লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত এলাকায় শিগগিরই যুদ্ধ দ্বিতীয় পর্যায়ে গড়াবে। এর লক্ষ্য হবে হিজবুল্লাহর রকেট হামলার কারণে ইসরাইলের সীমান্ত এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত লোকজনকে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা।
এর আগে গতকাল বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে ইসরাইলের হামলায় পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব ফিলিস্তিনের (পিএফএলপি) তিন নেতা নিহত হন।
গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামাসের সমর্থনে ইসরাইলের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলও। সম্প্রতি এ হামলা ব্যাপক হারে বাড়িয়েছে দেশটি। এতে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা নিহত হয়েছেন।
দুই সপ্তাহে দেশটিতে এ নিয়ে ইসরাইলি হামলায় ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও প্রায় ৬ হাজার আহত হয়েছে। হামলার মুখে লেবাননের প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।