প্রিয়তম বন্ধুটিকে অনেকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে চান। কিন্তু বিয়ের পর জীবন অন্য মাত্রা পায়। ফলে প্রিয় বন্ধুকে বিয়ে করলে অনেক সমস্যা হতে পারে।
গভীর বন্ধুত্বকে ‘প্রেম’ বলে ভুল করে বসেন অনেকে। পরস্পরের পছন্দ-অপছন্দ, ভালো-মন্দের খেয়াল রাখাটাকে অনেকে ভুলবশত ভালোবাসা বলে ধরে নেন। আর সেই বন্ধুত্বই যখন পরিণয়ে পরিণত হয়, তখনই প্রশ্ন জাগে, প্রেম কোথায়? দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে বন্ধুতা এক জিনিস, আর বন্ধুকে স্বামী বা স্ত্রী হিসেবে ভালবাসা অন্য। সেই আবেগ-ঘনিষ্ঠতা না থাকলে বন্ধুত্ব যেন তিক্ত হয়ে ওঠে।
প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে প্রেম হলে অনেকেই তাড়াতাড়ি বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়ে। আর প্রেমসাগরে ডুব দিলে ব্যক্তিগত লক্ষ্য গৌণ হয়ে যায়। একে অপরের হাত ধরেই কেটে যাবে বাকিটা জীবন - এমন মনোভাব তৈরি হলেই সমস্যা। ভালো চাকরি বা উন্নতির সুযোগ পেলেও পরস্পরের থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তখন বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
দুই প্রিয় বন্ধুর মধ্যে বিতর্ক শুরু হলে তা কী মোড় নেয় বোঝা দায়। কিন্তু সে ঝগড়ায় যে কেউই হার মানতে চান না, তা বলাই বাহু্ল্য। কে কাকে থামাবেন, কেই বা কাকে সান্ত্বনা দেবেন! যিনি এককালে তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে নানা ঝড়ঝঞ্ঝায় আপনার পাশে দাঁড়িয়েছেন, এখন তো শত্রুপক্ষ তিনি নিজেই। দাম্পত্যজীবনে সেই বন্ধুই কেমন যেন অচেনা হয়ে যান।
দাম্পত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ যৌনতা। যৌনজীবন সুখের হলে ভালোবাসায় গভীরতা বাড়ে। অটুট হয় বিবাহের সম্পর্ক। কিন্তু যিনি খুব ভালো বন্ধু, তিনি যে ভালো যৌনসঙ্গীও, তেমনটা নাও হতে পারে। বন্ধুত্বের ভালোবাসার টান আর যৌন আকাঙ্ক্ষা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর এখানেই সম্পর্কে চিড় ধরে। তাই বেস্ট ফ্রেন্ডকে জীবনসঙ্গী বানানোর আগে সব দিক ভেবে নেওয়াই উত্তম।