ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বরাবরই দেশটিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশ নিয়ে উচ্চকণ্ঠ। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের এক নির্বাচনী প্রচারণা সভায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শায়েস্তা করার হুমকি দেন তিনি।
গতকাল শনিবার ভারতের গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গত শুক্রবার রাজ্যের সাহেবগঞ্জ জেলায় “পরিবর্তন যাত্রা“ নামের প্রচারণা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে দেওয়া ভাষণে অমিত শাহ বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সিধে করে দেওয়া হবে।”
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়তে পারলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন অমিত শাহ।
তিনি আরও জানান, ‘পরিবর্তন যাত্রা’ প্রচারণার অংশ হিসেবে বিজেপির প্রতিনিধিরা আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে যেয়ে পরিবর্তনের বার্তা দেবে।
পরিবর্তন প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, “কিসের জন্য পরিবর্তন? ঝাড়খন্ডে মুখ্যমন্ত্রী বদলানো নয়, এমনকি বিজেপিকে ক্ষমতায় আনাও নয়। আমাদের লক্ষ্য এই দুর্নীতিবাজ সরকারকে সরিয়ে এমন একটি সরকার নিয়ে আসা, যারা দুর্নীতি দমন করতে পারে।”
অমিত শাহ বলেন, “আমি আপনাদের সবাইকে ঝাড়খন্ডে বিজেপি সরকার গঠনের জন্য আবেদন জানাতে চাই। এবং আমরা প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে উল্টো করে ঝুলিয়ে সিধে করে দেব।”
ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) হেমন্ত সরেনের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার হিসেবে অভিহিত করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, হেমন্ত সরেনের সরকার দুর্নীতি ছাড়া কিছুই করেনি। এই সরকার দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ সরকার।
এর আগে, ২০১৮ সালেও তিনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ‘উইপোকা’ হিসেবে অভিহিত করে সমালোচিত হয়েছিলেন।
সে সময় তিন দিনের ব্যবধানে অন্তত দুইবার বিজেপির তৎকালীন সভাপতি অমিত শাহ উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ থেকে লাখো মানুষ ‘উইপোকার’ মতো ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করছে এবং তাদেরকে ‘নির্মূল’ করা উচিত।
তিনি বলেন, “অনুপ্রবেশকারীরা প্রকৃত ভারতীয়দের অধিকার হরণ করছে। রসদে ভাগ বসাচ্ছে। উইপোকার মতো ভেতর থেকে দেশকে কুরে কুরে খাচ্ছে। ওদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করা হবে। তারপর ফেরত পাঠানো হবে।”