পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে চার জন নিহত এবং অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে ৭২ ঘন্টার অবরোধ চলছে।
অবরোধে আজ রোববার রাঙ্গামাটি থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস, বন্ধ রয়েছে আন্তঃজেলা বাস চলাচলও।
সকালে শহর ঘুরে দেখা যায়, চলছে না শহরের একমাত্র গণপরিবহন অটোরিকশা। বন্ধ আছে শহরের বাজার-শপিংমলগুলো।
শুধুমাত্র ব্যক্তিগত প্রয়োজন কিংবা কাজের জন্য যারা বের হয়েছেন তাদেরই রাস্তায় দেখা গেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে আছে।
রাঙ্গামাটি জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ও চালক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বাবু বলেন, উপদেষ্টাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আমাদের দাবিগুলোর কথা জানিয়েছি। উপদেষ্টারা আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত যানবাহন ও জানমালের পূর্ণ নিশ্চয়তা না পাব ততক্ষণ ধর্মঘট চলবে।
রাঙ্গামাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা ডেইলি স্টারকে জানান, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় যান চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা আছে। আজকে দুপুরের মধ্যে পুলিশ সুপার এবং রাঙ্গামাটি জোন কমান্ডারের যৌথ বৈঠকে অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। রাস্থাঘাটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে।
গত শুক্রবার রাঙ্গামাটির বনরুপা বাজার এলাকায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাঙ্গামাটিতে সব ধরনের যানবাহন, নৌপথে লঞ্চ ও নৌকা চলাচল বন্ধ আছে।
অবরোধের দ্বিতীয় দিন রোববার খাগড়াছড়ির বিভিন্ন রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা আটকে রেখেছে স্থানীয় বিক্ষোভকারীরা।