
মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
ঢাকা: ভারত ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পেছনে দাঁড়িয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে জামায়াত আয়োজিত ম্যারাথন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হওয়া যুব ম্যারাথন রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরওয়ার বলেন, “এই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হচ্ছে সেই ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত উদ্যান, যেখানে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে তাদের অত্যাচার-নির্যাতনের স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভুলের স্বীকৃতি দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল।”
“দুঃখজনক হলো দিল্লির আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্রের কারণে এই স্বাধীনতা যে বাঙালির স্বাধীনতা নয়, এই স্বাধীনতা যে আমাদেরকে তারা দেয় নাই, তার প্রমাণ সেইদিন, প্রথম দিনে-বিজয়ের দিনে দিয়েছে। জেনারেল নিয়াজির (পাকিস্তানি বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজি) মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর কাছেই আত্মসমর্পণ করার কথা ছিল। কিন্তু আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী কেন অনুপস্থিত ছিল? সেখানে (মিত্রবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল) জগজিৎ সিং অরোরার কাছে নিয়াজিকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল,“ যোগ করেন তিনি।
পরওয়ার আরও বলেন, “তার অর্থ, পাকিস্তানি সৈন্যরা ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নয়। আমি মনে করি, এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ককে অনুপস্থিত রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ভারত ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের কাছে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের পেছনে এসে দাঁড়িয়েছিল।”
ভারতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ভারত বলে ১৬ ডিসেম্বর হচ্ছে ভারতের বিজয় দিবস। তারা ওখানে (ভারতে) ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় দিবস পালন করে। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা এই অপমানজনক, বৈষম্যমূলক, আধিপত্যবাদমূলক, সাম্রাজ্যবাদমূলক আচরণের জন্য ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
পালাবদল/এসএ