
শওকত মাহমুদ। ফাইল ছবি
ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবিপ্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। সেই মামলায় শওকত মাহমুদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোড এলাকা থেকে এনায়েত করিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই সময় প্রাডো গাড়িতে করে ‘সন্দেহজনকভাবে’ ঘুরছিলেন তিনি। পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ঘোরাঘুরির কারণ জানতে চাইলে এনায়েত করিম কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তখন পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রমনা মডেল থানায় মামলা করে।
ওই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছিল, এনায়েত করিম নিজেকে মাসুদ করিম নামে পরিচয় দেন। তিনি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রধান বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এ পরিচয়ে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখান। ২০১৮ সালের ভোটের আগেও তিনি একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে দেশের বাইরে বৈঠক করেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফেরেন।
এ ছাড়া রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, আসামি এনায়েত করিম ওরফে মাসুদ করিম একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। বাস্তবে তিনি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার মিশন নিয়ে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বর্তমান সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। তার দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।
গত এপ্রিলে জনতা পার্টি বাংলাদেশ নামে এ রাজনৈতিক দলটির আত্মপ্রকাশ করে। দলটির চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন আর মহাসচিব শওকত মাহমুদ।
একসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন শওকত মাহমুদ। ২০২৩ সালের ২১ মার্চ বিএনপির সব পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন।
পালাবদল/এসএ