![]()
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি’ বা চীনা নৌসেনার মোকাবিলা করতে আমেরিকা থেকে এগারোটি ১২৭ মিমি ক্যালিবারের মধ্যম পাল্লার কামান কিনছে ভারত। ৩ হাজার ৮০০ কোটি রুপির এই চুক্তি মতে জরুরি ভিত্তিতে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার থেকেই তিনটি কামান ভারতের হাতে তুলে দেবে আমেরিকা। তবে নতুন কামান তৈরি হয়ে গেলে এগুলিকে বদলে ফেলা হবে। আগামী বছর দুয়েকের মধ্যেই নতুন ১১টি কামান ভারতীয় নৌসেনার হাতে চলে আসবে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, নৌসেনার বিশাল আয়তনের রণতরী যেমন বিশাখাপত্তনম ক্লাসের ডেস্ট্রয়ারগুলিতে বসানো হবে মার্কিন কামানগুলি। বিগত কয়েক বছরে আমেরিকার সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত করেছে ভারত। ফলস্বরূপ সোভিয়েত জমানার হাতিয়ার বদলে এবার অত্যাধুনিক মার্কিন প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে ভারতীয় নৌসেনা। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার তৈরি নজরদারি বিমান বাতিল করে নৌবহরে শামিল হয়েছে অত্যাধুনিক মার্কিন Poseidon-8I যুদ্ধবিমান। ২০০৯ সালে এই বিমানটির প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রেতা হিসেবে ৮টি বিমান খরিদ করতে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। ২.১ বিলিয়ন ডলারের ওই চুক্তি মোতাবেক ৮টি বিমান নয়া দিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার পর আরও ৪টি বিমান ক্রয় করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয় ভারত। এছাড়া, Sea King হেলিকপ্টারগুলির জায়গায় আসছে আমেরিকায় তৈরি MH-60 Romeo হেলিকপ্টার। শুধু তাই নয়, মার্কিন ড্রোনও লিজে নিয়েছে নৌসেনা। গালওয়ান উপত্যকায় লালফৌজের সঙ্গে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর থেকে আর কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না ভারত। তাই শান্তি আলোচনা চললেও লড়াইয়ের জন্য সেনাবাহিনীকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১৯৬২ সালের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই দ্রুত সেনাকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করছে নয়া দিল্লি। পালাবদল/এমএ
|