একটি জরিপে উঠে এসেছে, পরিবার থেকে দূরে থাকার জন্য অফিসে বেশি সময় দিতে পছন্দ পছন্দ করেন পুরুষেরা। পুরুষদের মধ্যে এই প্রবণতা নারীদের চেয়ে দুইগুণ বেশি।
রানওয়ে ইস্ট নামের একটি সংস্থার জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় এক-চতুর্থাংশ নারী উত্তর দিয়েছেন, তারা অফিসে যান 'পরিবার থেকে দূরে থাকতে'। আর এই উত্তর পাওয়া গেছে দ্বিগুণসংখ্যক পুরুষের কাছ থেকে।
এছাড়া ব্যক্তিগত কাজের জন্য অফিসের স্টেশনারি পণ্য ব্যবহার করতেও অফিসে যান বলে উত্তর দিয়েছেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পুরুষ। এছাড়া অফিসে আড্ডা মারার ব্যাপারটিও নারীদের চেয়ে পুরুষদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় বলে উঠে এসেছে জরিপে।
ওই জরিপে দেখা গেছে, নতুন নতুন বন্ধু বানানো ও পরিচিত মানুষদের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে অফিসে যাওয়ার প্রবণতা নারীদের চেয়ে পুরুষের মধ্যে দ্বিগুণ বেশি। রানওয়ে ইস্ট জানিয়েছে, জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে অন্তত একজন বলেছেন, তারা অফিসে যান ভালো কফি পান করার সুযোগ পান বলে।
রানওয়ে ইস্টের প্রধান নির্বাহী নাতাশা গুয়েরা বলেন, “যেসব মানুষ অফিসে যেতে চান না, তারা আসলে যাতায়াত করার ব্যাপারটি পছন্দ করেন না। এছাড়া তারা কাজের জন্য ডেস্কের চেয়েও বেশি কিছু চান।”
রানওয়ে ইস্টের জরিপে অন্যান্য আরও কিছু গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্যই উঠে এসেছে। যেমন গত জুনে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অভ লেবার স্ট্যাটিস্টিকস (বিএলএস)। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির পর নারীদের চেয়ে বেশিসংখ্যক পুরুষ অফিসে ফিরেছেন। আর নারীরা বাসার কাজেই সময় কাটানোয় জোর দিয়েছেন।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকসের (ওএনএস) ২০২১ সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, আগের চেয়ে বেশিসংখ্যক নারীরা বলেছেন যে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্য তারা 'কাজ শেষ করার জন্য বেশি সময়' পেয়েছেন, পাশাপাশি মনোযোগও বেশি দিতে পেরেছেন।
মহামারির কারণে কাজের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে গেছে। বিএলএসের গবেষণায় আরও জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় বাড়ি থেকে অফিসের সব বা অনেক কাজ শেষ করেছেন তিন ভাগের এক ভাগ কর্মী-যা ২০১৯ সালের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।
নারীরা পুরুষদের চেয়ে বাসা থেকে বেশি কাজ করতে পছন্দ করেন। বাসা থেকে কাজ করতে পছন্দ করা পুরুষের হার যেখানে ২৮ শতাংশ, সেখানে নারীর সংখ্যা ৪১ শতাংশ।
ওএনএস এর আগে দেখেছে, বিপুলসংখ্যক কর্মী-৮৫ শতাংশ-ভবিষ্যতে হাইব্রিড স্টাইলে অফিসের কাজ করা অব্যাহত রাখতে চান।