বরিশাল: যৌন হয়রানির সময় স্থানীয় হিজড়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা এক তরুণীকে উদ্ধার করেছেন। এছাড়া, তারা অভিযুক্ত যুবক মো. সোহেলকেও পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
সোহেলের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর মা ইতোমধ্যে মামলা দায়ের করেছেন।
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঘটনাটি গত মঙ্গলবার মহানগরীর নয় নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর চল এলাকায় ঘটেছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থী ওই তরুণী বাজার থেকে কেনাকাটা সেরে বাড়ি ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে।
মামলার বাদী বলেন, “স্থানীয় যুবক মো. সোহেল চৌকিদার বেশি কিছু দিন ধরে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। গত মঙ্গলবার একই ঘটনা ঘটালে আমার মেয়ে দৌড়ে বাসায় চলে আসে। আমার স্বামী বের হয়ে সোহেলকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে।”
“ঘণ্টাখানেক পরে সোহেল তার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার স্বামীকে আহত করে। তারা আমার মেয়েকে মারধর ও যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে স্থানীয় কয়েকজন হিজড়া দৌড়ে এসে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে। তারা আমার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি পৌঁছে দিয়েছে,” বলেন তিনি।
ওই তরুণীর মা আরও জানান, পরে তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানালে পুলিশ এসে সোহেল চৌকিদারকে ধরে নিয়ে যায়।
স্থানীয় কবরী হিজড়া বলেন, “পাশেই আমাদের কমিউনিটির একটি মিটিং চলছিল। চিৎকার শুনে আমাদের লোকজন গিয়ে মেয়েটি ও তার বাবাকে উদ্ধার করে।”
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা জানান, মামলার পর বুধবার সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাজতে আছেন।