ঢাকা মহানগর বিএনপির মিছিলের আগে সমাবেশে বক্তব্য দেন নির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু।
আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত মিছিলের আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, “যারা আজ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু। যারা বিএনপির বিরুদ্ধে বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু, তারা এই দেশের মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে।”
বিএনপি বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য এখন একটাই, বাংলাদেশে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে। তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন বৈঠকে ঠিক করেছেন এটি। এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না।”
“লন্ডন বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ হওয়ার পর তাদের মাথা বিগড়ে গিয়েছে। যখন প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমান বৈঠক করে নিশ্চিত করে ফেলেছেন যে এবার নির্বাচন হবে, তখন থেকেই তাদের মাথা বিগড়ে গেল,” বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “তারেক রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ কথা ও স্লোগানের ধিক্কার জানাই। তাই বলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল কথা বলব না, এটা মাথায় রাখতে হবে আমাদের। আমরা তাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল-অস্রাব্য কথা বলব না।”
তিনি বলেন, “আমাদের নেতাকে অশ্লীল অস্রাব্য কথা বললে তারেকের মান ছোট হয় না, বরং ছোট হয় তারা যারাই কথা বলে।”
“তারেক রহমান যখন দেশে সংস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভূমিকা পালন করছেন, ঠিক সেসময় চক্রান্তকারী, ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশকে আবার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে,“ যোগ করেন তিনি।
“তারা চেষ্টা করছে বাংলাদেশে যেন নির্বাচন না হয়। তারা চেষ্টা করছে মানুষ যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে। তারা চেষ্টা করছে বাংলাদেশ যেন নতুন করে জেগে উঠতে না পারে,” বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, “যারা তারেক রহমান সম্পর্কে অশালীন ভাষায় স্লোগান দিয়েছিল তারা ভেবেছিল বিএনপি চুপ হয়ে যাবে। যারা অকথ্য ভাষায় আমার নেতা তারেক সম্পর্কে কথা বলেছে, স্লোগান দিয়েছে, তারা ভেবেছিল যে কথাগুলো বললে, স্লোগান দিলে বিএনপি বোধহয় ঘরের মধ্যে ঢুকে যাবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি হচ্ছে সেই দল যে বারবার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সব আঘাত প্রতিহত করে উঠে দাঁড়িয়েছে।”
নেতাকর্মীদের ধৈর্যশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “তারা চেষ্টা করছে আমাদের উত্তেজিত করে তাদের ফাঁদে পা দেওয়ার জন্য, যেন আমরা উত্তেজিত হয়ে যাই। আমরা এরকম উত্তেজিত না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র চাই।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আবার একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা অস্থিরতা সৃষ্টি করে বিভাজনের সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাদেশকে আবার একটা জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা হচ্ছে যেখানে গণতন্ত্র আবার ফিরবে না।”
“জুলাই-আগস্টে একজোট হয়ে ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্টকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে আবার ফ্যাসিস্টকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য নয়,” বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমরা খুব পরিষ্কার করে ঘোষণা করতে চাই, আমরা যেভাবে ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করতে পেরেছি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, ঠিক একইভাবে কোনোদিন যেন আবার ফ্যাসিস্ট না আসতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমরা করব। আসুন আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে সামনের দিকে এগিয়ে যাই।”
মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, “যারা দায়ী তাদের খুঁজে বের করতে হবে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এটা যারা করেছে তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করার কার্যক্রম করছে।”