শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫
 
আইন-আদালত
অর্থ আত্মসাতে সহায়তার অভিযোগ, কারাগারে আবুল বারকাত





নিজস্ব প্রতিবেদক
Friday, 11 July, 2025
9:22 PM
 @palabadalnet

আদালত প্রাঙ্গণে আবুল বারকাত। ছবি: সংগৃহীত

আদালত প্রাঙ্গণে আবুল বারকাত। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দুর্নীতি মামলায় অর্থনীতিবিদ ও রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা এ আদেশ দেন। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে এক দুদক কর্মকর্তা জানান।

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ডিবি পুলিশ রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসা থেকে আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পোশাক কারখানা অ্যাননটেক্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুদক এ মামলা করে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, অধ্যাপক বারকাত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় অ্যাননটেক্স গ্রুপকে অবৈধ সুবিধা দিয়ে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করতে সহায়তা করেছেন।

মামলায় মোট ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধ্যাপক আবুল বারকাত ছাড়াও জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।

‘আমি শিক্ষক মানুষ...আমার কিছু বলার নেই’ 

আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর আবার হাজতে নেওয়া হয়। এসময় তাকে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন। 

মামলার বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে আবুল বারকাত বলেন, “আমি শিক্ষক মানুষ। আপনারা ভালো থাকুন। আমার কিছু বলার নেই।”

এরপর তিনি আবার হাঁটতে থাকেন। তাকে আবার প্রশ্ন করা হলে তিনি আবার বলেন, “আমার কিছু বলার নেই।”

মামলায় যা আছে

চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পোশাক কারখানা অ্যাননটেক্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুদক একটি মামলা করে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, অধ্যাপক বারকাত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় অ্যাননটেক্স গ্রুপকে অবৈধ সুবিধা দিয়ে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করতে সহায়তা করেছেন।

এ মামলায় মোট ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার ১৩ নম্বর আসামি অধ্যাপক আবুল বারকাত। আসামিদের মধ্যে জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানও আছেন।

দুদকের উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইনের করা মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি, মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে অপরাধ, অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ব্যাংকের মর্টগেজ নেওয়া জমিতে বাস্তবে কোনো ভবন, স্থাপনা, কারখানা না থাকা সত্ত্বেও ঋণগ্রহীতা অ্যাননটেক্স মালিক হওয়ার আগেই ওই জমিতে স্থাপনা দেখিয়ে মূল্যায়ন করে এবং স্থাপনাবিহীন ৩ কোটি ৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় কেনা জমিকে অতি মূল্যায়ন করে প্রায় ১৬ হাজার ৪৮২ লাখ টাকা দেখিয়ে অন্যায়ভাবে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা ঋণ অনুমোদন করেছে।

পালাবদল/এসএ


  সর্বশেষ খবর  
  সবচেয়ে বেশি পঠিত  
  এই বিভাগের আরো খবর  


Copyright © 2025
All rights reserved
সম্পাদক : সরদার ফরিদ আহমদ
নির্বাহী সম্পাদক : জিয়াউর রহমান নাজিম
ফোন : +৮৮-০১৮৫২-০২১৫৩২, ই-মেইল : palabadal2018@gmail.com