সনাতন ধর্মীয় সংগঠনের ব্যানারে সংঘটিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকজন ও ইসকন সদস্যরা। এমন অভিযোগ করেছে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের একাংশের নেতারা।
বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আজীবন সদস্য সৌরভ পাল।
তিনি জানান, গত ১১ জুন একটি পক্ষ শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের কমিটি গঠিত হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছে। ঘোষিত ৮৭ জনের ওই কমিটিতে বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা ও বিতর্কিত ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এই কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ ও কোণঠাসা ইসকন নতুন করে সক্রিয় হতেই জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের মতো ধর্মীয় সংগঠনগুলো দখল করার অপচেষ্টা করছে।
সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা কমিটির সভাপতি চন্দন তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আর কে দাশ। যারা দু’জনই আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি এবং রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত।
সৌরভ পাল বলেন, চন্দন তালুকদার ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলার পেছনের দায়ী ব্যক্তি এবং অ্যাডভোকেট আলীফ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি আ জ ম নাছির ও পঙ্কজ দেবনাথের ব্যবসায়িক অংশীদার। এমন ব্যক্তিদের নেতৃত্বে ধর্মীয় সংগঠন পরিচালিত হতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, এই কমিটি বাতিল করে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন আয়োজন করে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠন করতে হবে। সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সুজিত কুমার বিশ্বাস মন্টুর বাবুকে তিনি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই অবৈধ কমিটি নিষিদ্ধ করে নির্বাচনের আয়োজন এর দাবি জানান।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংগঠনের অভ্যন্তরে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে, যা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণ সূজিত চৌধুরী গনেশ, প্রশান্ত কুমার পান্ডে, সঞ্জয় কুমার মানিক ও বাপ্পী দে।