চবি: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মেহেদী হাসান। তিনি পালি বিভাগের অফিস সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহাইবকে আহ্বায়ক করে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর নাম মুহাম্মদ ইয়াহিয়া। তিনি চবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তিনি লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগপত্রে ইয়াহিয়া উল্লেখ করেন, চবি উপাচার্যের কার্যালয়ের নিম্নমানের সরকারি কর্মচারী মেহেদী হাসান তাকে সেকশন অফিসার পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট প্রথম দফায় নগদ চার লাখ টাকা নেন। প্রায় দুই সপ্তাহ পর তিনি আরও এক লাখ টাকা নেন। মেহেদী তাকে জানান, চাকরি হলে আরও ১২ লাখ টাকা দিতে হবে। তবে চাকরি না হলে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ভুক্তভোগীর দাবি, পরবর্তীতে অভিযুক্ত মাত্র দুই লাখ টাকা ফেরত দেন এবং বাকি টাকা পরিশোধে নানা তালবাহানা শুরু করেন।
অভিযোগের বিষয়ে মেহেদী হাসানের নম্বরে ফোন করলেও তিনি ধরেননি। এসএমএস পাঠালেও কোনো জবাব দেননি।
চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত তিনি নিয়ম অনুযায়ী জীবিকা ভাতা পাবেন।