![]()
ফলে তরতরিয়ে বেড়ে চলে ওজন। তার ওপর রাত জাগার ফলে এটা–সেটা খেলে তো কথাই নেই। ক্রনিক অসুখ–বিসুখ থাকলে বা বয়স বেশি হলে রোগের প্রকোপ বাড়ে বা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। দীর্ঘদিন ধরে রাত জাগলে আবার রাতে ঘুমের অভ্যাস করাও কঠিন হয়ে পড়ে। আর তাই রাত জাগলে খাবারে অবিলম্বে রাশ টানা প্রয়োজন। তেল-মশলা, কফি এড়িয়ে চলবেন। সেই সঙ্গে খাদ্যতালিকায় যা রাখবেন পানি: বেশি পরিশ্রম করলে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়য়। এমনকী বসে কাজ করলেও পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন। আর তাই রাতে কাজ করলে একঘণ্টা পর পর এক গ্লাস পানি খান। এতে শরীর পানিশূন্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ঘি: যাদের কোলেস্টেরল আছে তারা অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যারা সুস্থ স্বাভাবিক তারা রাতের রুটি বা ভাতে এক চামচ ঘি খেতেই পারেন। ঘি শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে। আর্দ্র রাখে। তবে ঘি এর পরিবর্তে টক দইও চলবে। বাদাম: রাতে খিদে পেলে ফ্রিজ খুলে চকোলেট খান? কিংবা কফির সঙ্গে চিপস? আজই বাদ দিন এই অভ্যাস। খিদে পেলে একটা কাজুবাদাম কিংবা দুটো আমন্ড খান। এতে পেট ভরবে আর শরীরও ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে ঘুমও ভালো হয়। আর কাজের মাঝে খেলে মনও ভালো থাকে। খেজুর: এখন খেজুরের গুড় পাওয়া যাচ্ছে। তাই গুড় দিয়ে রুটি খেতেই পারেন। আর না চাইলে শুকনো খেজুর খান কাজের মাঝে। খেজুরে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ। যা এনার্জি দেয়, রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন ২-৩টা খেজুর অবশ্যই খান। ফল: ফলের রস নয়, রাতে কাজ করতে বসে গোটা ফল খান। অনেকেই ভাবেন রাতে ফল খাওয়া ঠিক নয়, কিন্তু রাতে সবেদা, শাঁখালু, আপেল, পেয়ারা, পেঁপে এসব খেতেই পারেন। এতে পেটও ভরবে আর শরীর থাকবে ভালো। আর ফল শরীরে পুষ্টি দেয়। ফলে অনিদ্রা, হজমের গোলমাল এসব আসে না। পালাবদল/এমএ |