বিগ বিউটিফুল বিল পাসে আনন্দ প্রকাশ করছেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আইওয়া অঙ্গরাজ্যের এক সমাবেশে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে গর্ব করে বলেন, তিনি এক ‘অসামান্য বিজয়’ অর্জন করেছেন। শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
অনেক দরকষাকষি, আলোচনা ও জল ঘোলা করার পর অবশেষে গত বৃহস্পতিবার মার্কিন কংগ্রেসে সরকারি ব্যয় ও কর সংক্রান্ত ‘ওয়ান বিগ, বিউটিফুল বিল’ পাস হয়েছে। একেই ট্রাম্প অসামান্য অর্জন হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকরাও বলছেন, এই বিল পাসের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও নিজের নির্ধারণ করা লক্ষ্যপূরণে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ২৫০তম জন্মদিবস উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবে বক্তব্য রাখতে যেয়ে শুরুতেই বিল পাসের বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ট্রাম্প। চিরপরিচিত ‘নাচ’ নেচে বিষয়টি উদযাপন করেন তিনি।
মতামত জরিপে ‘অজনপ্রিয়’ এই বিল নিয়ে নিজ দলেই বাধার মুখে পড়েন ট্রাম্প। এমন কী, ২০-৩০ জন কংগ্রেস সদস্যের প্রাথমিক বিদ্রোহে এই বিল পাস নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে পরবর্তীতে শুধু একজন আইনপ্রণেতা ছাড়া বাকি সব রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এতে সম্মতি দেন।
বিশ্লেষকদের আশংকা, এই বিল যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দেনাকে নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়ে যাবে। পাশাপাশি, এতে স্বাস্থ্য ও কল্যাণ সহায়তা ও টেকসই জ্বালানি খাতে অর্থায়ন কমানোর এবং ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযানে বাড়তি অর্থায়নের প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যা অনেকের উদ্বেগের কারণ।
এর আগে ট্রাম্পের এক কালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, ধনকুবের ইলন মাস্কও এই বিলের কড়া সমালোচনা করেন। হুমকি দেন, বিলটি পাস হলে পরের দিনই তিনি ‘আমেরিকা পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে লড়বেন।
আইওয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ডেস ময়েনেসে সমর্থকদের ট্রাম্প বলেন, “কয়েক ঘণ্টা আগে আমরা যে অসামান্য বিজয় অর্জন করেছি, এর চেয়ে ভালো কোনো জন্মদিনের উপহার আমেরিকা পেতে পারে না। সহজভাবে বলতে গেলে, এই ওয়ান, বিগ বিউটিফুল বিলটি পৃথিবীর সেরা সীমান্ত, সেরা অর্থনীতি, সেরা সামরিক বাহিনী তৈরি করবে এবং নিশ্চিত করবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই আমাদের এই সুন্দর গ্রহের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হিসেবে টিকে থাকবে।”
বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত ভোটের ফলে ট্রাম্পের বিল পাস হয়। পক্ষে বিপক্ষে ভোট ছিল ২১৮-২১৪।
‘না’ ভোট দিতে উদ্যত ‘অবাধ্য’ ও বিদ্রোহী রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানদের ছোট একটি দলকে ভালোমন্দ বুঝিয়ে মত পরিবর্তন করেন স্পিকার মাইক জনসন।