মোহাম্মদ রিজওয়ানকে টপকে চূড়ায় উঠতে মাত্র ৫ রান দরকার ছিল নিকোলাস পুরানের। বার্বাডোস রয়্যালসের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়া প্রথম দুই বলেই সেই চাহিদা পূরণ করলেন তিনি। চার মেরে রানের খাতা খোলার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক ব্যাটার নিলেন সিঙ্গেল। এক পঞ্জিকাবর্ষে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের নতুন রেকর্ড এখন তার।
শনিবার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে ১৫ বলে ২৭ রান করেন পুরান। চারটি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো এই ইনিংস খেলার পথে তিনি নাম লেখান ইতিহাসে। চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে ৬৬ ম্যাচের ৬৫ ইনিংসে তার রান ২০৫৯। এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ রানের আগের কীর্তি ছিল পাকিস্তানের রিজওয়ানের। তিনি ২০২১ সালে ৪৮ ম্যাচের ৪৫ ইনিংসে করেছিলেন ২০৩৬ রান।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক বছরে ২ হাজার রান পুরান ও রিজওয়ান ছাড়া আর কারও নেই। সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার জন্য পুরানকে রিজওয়ানের চেয়ে ২০ ইনিংস বেশি খেলতে হয়েছে। তবে স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে অনেক এগিয়ে পুরান। রিজওয়ানের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩২.০৩, পুরানের ১৬০.৮৫।
আরও একটি বিচারে রিজওয়ান তো বটেই, বাকি সবাই বেশ পিছিয়ে পুরানের চেয়ে। চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে ১৫২টি ছক্কা মেরেছেন বাঁহাতি ব্যাটার পুরান। এই সংস্করণে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড এটি। এক বছরে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দেড়শো ছক্কা হাঁকানো প্রথম ব্যাটারও তিনি। তার ধারকাছে নেই আর কেউ। আরেক বিধ্বংসী ক্যারিবিয়ান ব্যাটার ক্রিস গেইল এই তালিকার দুইয়ে আছেন। তিনি ২০১৫ সালে মেরেছিলেন ১৩৫টি ছক্কা।
পুরানের শীর্ষস্থান দখলের দিনে সিপিএলে ষষ্ঠ জয় পেয়েছে ত্রিনবাগো। তারুবায় টস হেরে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান তোলে তারা। জবাবে পুরো ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১৪৫ রান করতে পারে বার্বাডোস। নয় ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চলমান আসরের পয়েন্ট তালিকায় তিনে আছে ত্রিনবাগো। এক ম্যাচ বেশি খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চারে অবস্থান বার্বাডোসের।