রাশিয়ার কাছ থেকে প্রথম চালানে দুটি সুখোই যুদ্ধবিমান পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের বাণিজ্যমন্ত্রী চার্লি থান।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ-কে তিনি এ কথা বলেন বলে আজ রোববার জানিয়েছে রয়টার্স।
রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তক শহরে শুরু হওয়া ইস্টার্ন ইকোনোমিক ফোরামের সাইডলাইনে আরআইএ-কে চার্লি থান বলেন, “ইতোমধ্যে দুটি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হয়েছে।”
আরআইএ জানায়, রাশিয়ার কাছ থেকে ৬টি সুখোই এসইউ-৩০এসএমই যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একটি চুক্তি করেছিল মিয়ানমার।
রাশিয়ার রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র রপ্তানিকারক রোসোবোরনএক্সপোর্টের মতে, শত্রু বিমান ধ্বংস, আকাশে পারদর্শিতা প্রদর্শন, যুদ্ধে ব্যবহার ও পাইলটদের প্রশিক্ষণসহ বহুমুখী কাজের উদ্দেশ্যে সুখোই এসইউ-৩০এসএমই যুদ্ধবিমানের ডিজাইন করা হয়েছে।
আরআইএ-কে চার্লি থান আরও বলেন, ইস্টার্ন ইকোনোমিক ফোরামে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন উন্নয়নসহ আরও কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই হবে।
তবে এ বিষয়ে জানতে রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছে যে, মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের জন্য রাশিয়ার সমর্থন অগ্রহণযোগ্য। কেননা রাশিয়ার সরবরাহকৃত অস্ত্র মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে ইন্ধন জোগাবে, যা দেশটির জন্য আরো বিপর্যয় বয়ে আনবে।