![]()
আজ বুধবার বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার রাতে রাজধানী মাদ্রিদের পূর্বদিকে পার্বত্যাঞ্চল মোলিনা দে আরাগন ও তেরুয়েলে তাপমাত্রা মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। গত ২০ বছরে এটি ছিল স্পেনের সবচেয়ে শীতল রাত। সর্বশেষ বার্সেলোনায় দুই জন গৃহহীন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এর আগে মাদ্রিদ ও মালাগায় দুই করে এবং সারাগোসায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এই পরিস্থিতিতে প্রবীণদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ জানানোর পিাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ স্পেনে শীতকালে হালকা ঠাণ্ডা পড়লেও এবার প্রচুর তুষারপাত হয়েছে ও বরফ জমেছে। তুষারঝড়ে দেশটির পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, মাদ্রিদের ১৯৭ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে ‘স্পেনীয় সাইবেরিয়া’ হিসেবে পরিচিত মোলিনা দে আরাগন অঞ্চলে সবচেয়ে শীতল রাত্রিকালীন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ওই অঞ্চলের স্থানীয় অধিবাসী জোলি আসেনসিও বিবিসি’’কে বলেছেন, ‘আরও কয়েকদিন এরকম ঠাণ্ডা থাকবে বলে মনে হচ্ছে। আমরা সবাই এ সময়টা পার করার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘জীবন কঠিন হয়ে উঠেছে। প্রচুর তুষারপাত হয়েছে, বাড়ির ঢোকার পথ ও রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।’ সোমবার রাতে মাদ্রিদের তাপমাত্রা মাইনাস ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। করোনা মহামারির কারণে ইতোমধ্যেই প্রবল চাপে থাকা রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বরফে পিছলে গিয়ে হাড় ভেঙে যাওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলো রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতালের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় দৈনিক এল মুন্দো জানিয়েছে, সোমবার শুধু মাদ্রিদ অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতেই হাড় ভাঙা এক হাজার ২০০ রোগী এসেছেন। সেইভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, মাদ্রিদ অঞ্চলের লা কানাদা রেয়াল গালিয়ানা এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় প্রায় দুই হাজার শিশু ও তাদের পরিবার শূন্য তাপামাত্রার নিচে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। স্পেনীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মাদ্রিদ-বার্সেলোনা হাই স্পিড রেল রুটেও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে তা স্বাভাবিক হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে যাত্রীবাহী বহু ট্রেনের পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে। রোববার মাদ্রিদ-বারাহাস বিমানবন্দরের বহু ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছিল। পরে ধাপে ধাপে ফ্লাইট চলাচল আবার শুরু হয়েছে। দেশটির দৈনিক এল পায়িস জানিয়েছে, স্পেনের ১২ হাজার ১০০ কিলোমিটার সড়ক থেকে তুষার সরাতে ও সেগুলোকে বরফমুক্ত রাখতে ১ হাজার ৩০০টি তুষার-পরিষ্কার করার গাড়ি ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে। পালাবদল/এসএ
|