![]()
দিল্লির কাছে কৃষকদের বিক্ষোভ যে তীব্র আকার নিয়েছে, তা প্রশমনে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের উদ্দেশে বলেছে, 'এটি আপনারাই স্থগিত করবেন, নাকি আমরা করব, এটা বলে দিন। এখানে ইগো কীসের?' নয়া কৃষি আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে করা একটি পিটিশনের শুনানিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি বলেন, 'ভুল কিছু হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে প্রত্যেকে তার জন্য দায়বদ্ধ থাকব। আমাদের হাত নিয়ে কোনো ক্ষত হোক বা রক্তপাত হোক, এটা আমরা চাই না।' সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, একবার নতুন আইনের বাস্তবায়ন স্থগিত করা হলে, পরবর্তী প্রক্রিয়া চালানো সুবিধাজনক হবে। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে আদালত বলেছে, 'এবার আপনারা সিদ্ধান্ত নিন যে ওই জায়গাতেই বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন, নাকি অন্য কোথাও তা সরিয়ে নিয়ে যাবেন।' সরকারের কাছে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, 'শেষ শুনানিতেও আমরা জিগগেস করেছিলাম, কিন্তু কোনো জবাব মেলেনি। পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এই আবহাওয়ায় মহিলা ও বয়স্করাও কেন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন?' বিক্ষোভ সামাল দিতে ও এই আইন নিয়ে পর্যালোচনার জন্য সরকারকে একটি কমিটি গঠন করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন, 'সরকার নিজে থেকে কিছু না-করলে, আমরাই বলব আইন স্থগিত করতে।' কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিষয়টি নিয়ে রায় দেওয়ার জন্য এত তাড়াহুড়ো কেন? জবাবে প্রধান বিচারপতি তাকে বলেন, "আমাদের ধৈর্য নিয়ে কোনো জ্ঞান দিতে আসবেন না। এতদিন আমরা আপনাদের যথেষ্ট সাহায্য করেছি, আপনারা কিছুই করতে পারেননি।" তবে আজকের রায়ের পরও কৃষকদের তাদের আন্দোলন চালানোর অধিকার থাকবে, শীর্ষ আদালত সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে। - সংবাদসংস্থা পালাবদল/এমএ
|