![]()
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ‘নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির নৈশকালীন নির্বাচনের’অভিযোগ এনে বর্ষপূর্তিতে কর্মসূচি ঘোষণা ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বক্তব্য তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জোটের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। বাম জোটের পক্ষ থেকে খালেকুজ্জামান, মোহাম্মদ শাহ আলম, সাইফুল হক, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী,মোশরেফা মিশু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতেই সম্পন্ন হয়েছে। এটি যে জালিযায়িতপূর্ণ ভোট ডাকাতির নির্বাচন ছিল সে ব্যাপারে আজ কোনো বির্তক নেই। দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাসে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের দিন ৩০ ডিসেম্বর আরো একটি কালো দিবস হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের ১৪ দলীয় জোট ২০০৮ সালে ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্টার অঙ্গীকার করে দিন বদলের কর্মসূচি দিয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে গত ১১বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। জনগণের কাছে প্রদত্ত অঙ্গীকার বরখেলাপ করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রার্থী ও ভোটারবিহীন নির্বাচনে ১৫৪ জন প্রার্থীকে জয়ী দেখিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগের দিন প্রশাসন ব্যবহার করে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স পূর্ণ করতে হয়েছে। বিজয়ী ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ঘোষিত ভোট পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থাকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করেছিল। জনগণের সম্মতি ছাড়াই ভোট ডাকাতির অবৈধ্ জাতীয় সংসদ ও সরকার জনগণের ঘাড়ের ওপর চেপে বসে আছে। জনগণ নির্বাচন বিমুখ হয়ে পড়েছে। আর এজন্য ‘জনগণের ভোটদানের অধিকার ছিনিয়ে’নেবার এ দিনটিকে বাম গণতান্ত্রিক জোট তাই কালো দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জোট পক্ষ থেকে সারা দেশে উপজেলা পর্যায়ে জোটের শরিক দলসমূহের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা মিছিল করবে। এর পাশাপাশি ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ করবে। পালাবদল/এমএম
|