![]()
রোববার বিকালে ধসে যায় সাতটি বসতবাড়ি এবং কয়েকদিন আগে ধসে গেছে সড়ক। এর ফলে ধসে যাওয়া বসতবাড়ির আশপাশে নিবাসীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে লক্ষ্মীপুর চুনাঘাটা সড়কে সাড়ে তিনশ মিটার অংশ ধসে পড়ায় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ধসে পড়া বাড়ির মালিকরা হলেন ভাটিলক্ষ্মীপুর এলাকার কুমার নদের পাড়ের মীর আলমাস, রহিম শেখ, মুনসুর খান, ফিরোজ কবিরাজ, করিম মোল্লা, রুনা বেগম, মোহাম্মদ আলী, জাকির হোসেন ও শেখ করিম। ক্ষতিগ্রস্ত মীর আসমাস, রুনা বেগম, রহিম শেখ জানান, অপরিকল্পিত ভাবে নদী খনন ও খনন কৃত মাটি পাড়ে না ফেলে বিক্রি করে দেওয়াই নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে স্থানীয়দের জান-মাল রক্ষায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর পদক্ষেপ নিবে। স্থানীয় বাসিন্দা শাহারিয়ার কাদির রুবেল জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই কুমার নদের বিভিন্ন অংশে সড়ক ও নদের পাড়ে ফাটল দেখা দেয়। তিনি আরো জানান, শহরের অম্বিকাপুর পল্লী কবি জসীম উদদীনের সমাধির কাছ থেকে লক্ষ্মীপুর চুনাঘাটা পর্যন্ত এই পাকা সড়কটি পাউবোর বেড়ি বাঁধের ওপর নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি নদের খননের পর সড়কের বিভিন্ন অংশে ধসে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ বিষয় ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, বসতবাড়ি ধসে যাওয়ার খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রেজা জানান, সরকারিভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িগুলোর বাসিন্দাদের অন্যত্র যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পালাবদল/এসএ
|