বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কত আসন ছাড়বে, সেটা আলোচনার ও বিবেচনার বিষয়।”
আজ রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক, উদার নৈতিক রাজনৈতিক দল। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে।”
প্রত্যেকটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, “অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জনের মতো প্রার্থী আছে। এখন আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছি। খুব শিগগিরই আসন ভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য “গ্রিন সিগন্যাল’ দেবো। তবে সেটি অফিশিয়াল হবে তফসিল ঘোষণার পরে।”
তিনি বলেন, “জরুরি কিছু ব্যতীত এমন কোনো বিষয় সামনে আনা উচিত হবে না, যা জাতীয় জীবনে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। নির্বাচন কেন্দ্রিক জোট গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”
তিনি বলেন, “আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ২৫০ আসন ছাড়লে সেটা তাদের একান্ত ব্যাপার। তবে বিএনপি কত আসন ছাড়বে তা আলোচনা ও বিবেচনার বিষয়”, যোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।
গণতন্ত্র রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের প্রশ্নে এক থাকবে।
আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধদের প্রশ্নে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, “আওয়ামী লীগের রাজনীতি ৫ আগস্টের পরই শেষ-কারণ জনগণ তাদের জবাব দিয়েছে এবং আগামী দিনেও দেবে।”
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট-আওয়ামী লীগের বিচার জনগণের বিষয়। আর তা হতে হবে রাজনৈতিক ও আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই।”
তিনি আরও বলেন, “গণহত্যা চালানোর পরও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা দিল্লিতে বসে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তাই সরকারের উচিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইসিটি কোর্টে মামলা করা।”
সংসদ সদস্যরা জনগণের ভোটে সংসদে যাবে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “অসাংবিধানিক বা অবৈধ কোনো প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হলে জাতি নতুন সংকটে পড়বে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব গণতান্ত্রিক ধারায় দেশকে এগিয়ে নেয়া এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা।”