
চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার সাততলা ভবনের কারখানাটির পুরোটিতেই আগুন ছড়িয়েছে। আজ রাত সাড়ে আটটার ছবি। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন ছড়িয়ে পড়ে সাততলার পুরো ভবনটিই জ্বলছে। সাত ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। থেমে থেমে কারখানাটির ভেতরে ছোট আকারে বিস্ফোরণ হচ্ছে। আগুনের তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাছে যেতে পারছেন না। দূর থেকে এক পাশে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তারা। এর মধ্যে আগুন পাশের একটি তিনতলা ভবনেও ছড়িয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে ওই এলাকার অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ও জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদামে আগুন লাগে। অ্যাডামস তোয়ালে, ক্যাপ এবং জিহং মেডিকেল সার্জিক্যাল গাউন তৈরির কারখানা। কারখানা ভবনটি সাততলার। দুটি কারখানার গুদামই সাততলায়, যেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ ও কারখানার মালিকপক্ষ জানিয়েছে, ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকে নেই। সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে রাত সাড়ে আটটার দিকে দেখা যায়, আগুনের তাপের কারণে ভবনটির ১০০ মিটার পর্যন্ত কেউ যেতে পারছেন না। তাপের তীব্রতায় ভবনের ছাদ ধসে পড়ছে। এই ভবন থেকে আগুনের ফুলকি চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আশপাশের ভবনে পানি ছিটিয়ে এ আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধ করার চেষ্টা করছেন। চারপাশে ভিড় করেছেন উৎসুক মানুষ। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের ভবনের পাশ থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। উদ্ধার সহায়তায় দুই প্লাটুন বিজিবিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে।
জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, আগুনের তাপের কারণে কারখানাটির কাছে যাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে আগুন নেভানোর পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে কাজ করছেন তারা। ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে কারখানা দুটিতে আগুন লাগার পর আশপাশের কারখানাগুলোও বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও এ এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।
এ এলাকায় কিছু কারখানা রাতের পালায় চালু থাকত। জানতে চাইলে একটি কারখানার নিরাপত্তাকর্মী সাইফুল ইসলাম জানান, তার আজকের রাতের পালায় ডিউটি ছিল। ভবনটির পাশেই তাদের কারখানা; কিন্তু তাকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবহান বলেন, আশপাশের কোনো কারখানা খোলা রাখা হয়নি। আশপাশের কারখানায় যাতে আগুন না লাগে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পালাবদল/এসএ