
সংগৃহীত ছবি
সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে লালদিয়া ও নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ অন্তত তিনটি টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি অপারেটরদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
বিষয়টি নিয়ে ‘সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, “এখনো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে আমরা আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিয়ে আমরা অগ্রসর হতে পারব।”
গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এই সেমিনারে তিনি বলেন, আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের তুলনায় বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহ কম হওয়ার অন্যতম কারণ বন্দরগুলোর নিম্ন দক্ষতা।
তিনি বলেন, আমরা প্রায়ই বলি এফডিআই আসছে না, কিন্তু দেখুন-২০২৩ সালে বাংলাদেশ মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার এফডিআই পেয়েছে, যেখানে ভিয়েতনাম পেয়েছে ১৮ বিলিয়ন ডলার এবং ভারত ২৮ বিলিয়ন ডলার। এত পার্থক্য কেন? এর কারণ কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা।
ইউসুফ বলেন, এ ধরনের একটি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে, যেখানে সিন্ডিকেটগুলো ৫০ বছর ধরে কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছে।
তিনি বলেন, সক্ষমতা না বাড়ালে বন্দরের কার্যকারিতা কখনোই উন্নত হবে না। তাই দক্ষতা বাড়াতে আমরা আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের নিয়ে আসছি।
বর্তমানে বাংলাদেশের লজিস্টিকস খরচ জিডিপির ১৫-১৬ শতাংশ, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। অথচ বেশিরভাগ দেশে এই হার গড়ে প্রায় ৮ শতাংশ। নৌপরিবহন সচিব প্রশ্ন রাখেন, এত উচ্চ লজিস্টিকস খরচ নিয়ে আমরা কীভাবে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা করব?
তিনি বলেন, চূড়ান্ত হওয়ার পর আমরা চুক্তিগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করব, যাতে জনগণ দেখতে পারে যে আমরা জাতীয় স্বার্থে কোনো আপস করিনি। আমাদের মূল বার্তা হলো: আমরা দেশকে বিক্রি হতে দেব না। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদেরও এটাই অবস্থান।
“যদি আমরা আমাদের স্বল্প ও মধ্যম-মেয়াদী পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে রপ্তানি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।”
পালাবদল/এসএ