ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েল এখন শুধু তার ‘প্রচলিত শত্রু ও সমালোচকদের’ জন্যই নয়, বরং ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো ‘মহান বন্ধুদের’ জন্যও বোঝায় পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা এবং বিশ্ববাসীর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ঠিক এভাবে কথাটি বললেন।
তেল আবিব থেকে আল-জাজিরাকে গোল্ডবার্গ বলেন, “কেউ এটা প্রকাশ্যে স্বীকার করবেন না। কিন্তু আমি মনে করি, হামাসের জবাবকে শান্তি স্থাপনের আগ্রহ হিসেবে দেখে ট্রাম্প যে আকস্মিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা এমনি এমনি নয়।”
গোল্ডবার্গ বলেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এটাই প্রমাণ করে, তিনি যখন নেতানিয়াহু বা ইসরায়েলের দিকে তাকাচ্ছেন, তখন তিনি একে একটি বোঝা হিসেবে দেখছেন। ট্রাম্পের বহুল পরিচিত ভাষায় বলতে গেলে, তিনি একজন ‘লুজার’ বা ‘ব্যর্থ ব্যক্তিকে’ দেখছেন।
ইসরায়েলি বিশ্লেষক আরও যোগ করেন, ইসরায়েল এমনটা একেবারেই আশা করেনি। কারণ, দেশটি তার ‘জাতিগত নিধনমূলক কর্মকাণ্ডের অন্তহীন চক্রে’ এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল যে তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার বাইরে অন্য কিছু স্বীকার করতে পারছিল না।
গোল্ডবার্গ বলেন, “গাজায় যাওয়ার চেষ্টা চালানো প্রথম ফ্লোটিলা ও গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মধ্যে পার্থক্য দেখুন। আর এই (দ্বিতীয়) ফ্লোটিলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের পদক্ষেপের পর বিশ্বজুড়ে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তা খেয়াল করুন। কিছুই আগের মতো নেই। আমি মনে করি, গত দুই বছরের মধ্যে ইসরায়েল আজ শনিবার সকালে সবচেয়ে বেশি একাকী হয়ে পড়েছে।”
তবে গোল্ডবার্গ যুক্তি দিয়ে বলেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা মেনে চলার ক্ষেত্রে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিজস্ব একটি সুবিধা রয়েছে।
এই বিশ্লেষক বলেন, ইসরায়েলে যদি মধ্যবর্তী জাতীয় নির্বাচন দেওয়া হয়, তবে নেতানিয়াহুর জন্য এটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিস্থিতি হবে। কারণ, তিনি এমন একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন, যিনি একটি অনিবার্য কঠিন যুদ্ধ লড়েছেন। একই সঙ্গে তিনি একটি অনিবার্য কঠিন চুক্তিও স্বাক্ষর করতে পেরেছেন।