মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি: এএফপি
আরব উপসাগরীয় দেশ কাতারের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। গত মাসে দোহায় ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই নির্বাহী আদেশ জারি করলেন।
নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কাতার যদি আবারও হামলার শিকার হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে পাল্টা জবাব দেবে।
স্থানীয় সময় গত সোমবার সই করা নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা, অভিন্ন স্বার্থ এবং আমাদের সামরিক বাহিনীর মধ্যে নিবিড় সম্পর্কের দ্বারা একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ।”
গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের ওই হামলা আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দিয়েছিল। এ ঘটনায় কাতারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
ইসরায়েল বলেছিল, তাদের ওই হামলার লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতারা, যারা কাতারের পৃষ্ঠপোষকতায় গাজায় মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য রাজধানী দোহায় অবস্থান করছিলেন। ওই হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল-হায়ার ছেলেসহ ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কাতারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাও আছেন। তবে হামলায় হামাসের কোনো নেতা নিহত হননি।
ওই হামলার কাতারের নাগরিক নিহতের ঘটনায় গত সোমবার দেশটির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বৈঠকের সময় এক যৌথ ফোনালাপে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানির কাছে এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।
সোমবার হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন নেতানিয়াহু। সেখান থেকে কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে যৌথভাবে ফোন করেন তাঁরা। ওই ফোনকলে ক্ষমা চান নেতানিয়াহু। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের পাশাপাশি মধ্যস্থতা করে আসছে কাতার। ওই হামলার পর ইসরায়েল ক্ষমা না চাইলে মধ্যস্থতা থেকে সরে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল দোহা।