ঢাকা: গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে সারাদেশে ৪১ জেলার মোট ৪৩৮ স্থানে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।
পুলিশ ও তৎকালীন আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সদস্যরা এ হত্যাযজ্ঞ চালায়।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এ তথ্য জানান তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর।
তিনি জানান, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দুই শীর্ষ সহযোগীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্তকালে তিনি এ তথ্য উদঘাটন করেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তের সময় তিনি এসব হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর গত রোববার থেকে সাক্ষ্য দিচ্ছেন ট্রাইব্যুনালে। আজ বিকেলে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাকে জেরা শুরু করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এক পর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই মামলার রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।