রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইরে একটি ক্ষতিগ্রস্ত রেস্টুরেন্ট। ছবি: এএফপি
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংঘাতের প্রভাব পড়ল ক্রিকেটে ওপরও। ভারতের ড্রোন হামলার প্রেক্ষিতে সরিয়ে নেওয়া হলো পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের বাকি অংশ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পিএসএলের ফাইনালসহ বাকি থাকা আটটি ম্যাচের চূড়ান্ত সূচি যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাওয়ালপিন্ডিতে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল করাচি কিংস ও পেশোয়ার জালমির। তবে স্টেডিয়ামের কাছে একটি ড্রোন বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিকালে ম্যাচটি স্থগিত করা হয়। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে জরুরি সভায় বসেন পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। কয়েক দফা বৈঠকের পর মধ্যরাতে আসে পিএসএল পাকিস্তান থেকে আরব আমিরাতে স্থানান্তরের ঘোষণা।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের কাছে একটি ড্রোনসহ মোট ২৮টি ভারতীয় ড্রোন 'নিষ্ক্রিয়' করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তিনি এই ড্রোন হামলাকে 'দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারদের লক্ষ্যবস্তু করার একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা' হিসেবে অভিযোগ তুলেছেন।
গত মাসে কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পাকিস্তানে সামরিক হামলা চালায় ভারত। এরপর থেকে সীমান্তে গুলি বিনিময়সহ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটির মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বেশ কিছু জায়গায় ড্রোন হামলা করেছে ভারত।
চলতি পিএসএলে আছেন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের মোট ৩৭ জন বিদেশি খেলোয়াড়। সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানে থাকতে অনিচ্ছুক তারা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর স্থগিত দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল পাকিস্তানে। ২০২০ সাল থেকে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। কয়েক মাস আগে দেশটি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও আয়োজন করেছে।