উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: রাজধানীর হাবীবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন সাইফুর রহমানকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার দম্পতি।
এ কারণে তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে গ্রেফতারকৃতরা। আজ ডিএমপির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে, ঘটনার ২/৩ দিন আগে কমলাপুর রেলস্টেশনে ভিকটিম মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়ার সঙ্গে নাজিম হোসেন ও রুপা বেগম ওরফে জান্নাতির পরিচয় হয়। পরিচয় হওয়ার সুবাদে ভিকটিম দুজনকে তার ফ্ল্যাটে নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া রুপা বেগম ওরফে জান্নাতিকে তার ফ্ল্যাটে আটক করে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন শুরু করে। গ্রেফতারকৃতরা নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত রাগ ও ক্ষোভ থেকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে। আঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা যান।
পুলিশ জানায়, ভিকটিমের ফ্ল্যাট থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বটি, একটি চাকু ও রক্তমাখা জামা-কাপড় এবং বিছানার চাদর উদ্ধার করা হয়েছে।
গত সোমবার রাত ২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে উত্তরখান থানার পুরানপাড়া বাতান এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে খুন হন সাইফুর রহমান ভূঁইয়া। খুনের ঘটনায় তার ছোট ভাই মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে গতকাল মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, সাইফুর রহমান উত্তরখানের পুরানপাড়া বাতান এলাকায় তার স্ত্রীর পৈত্রিক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য গত ৩/৪ মাস যাবত সে এলাকার একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকছিলেন। গতকাল তিনি খবর পান তার বড় ভাইকে অজ্ঞাতানামা ব্যক্তিরা ধারালো অস্ত্রে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তার শয়ন কক্ষের ভেতর ফেলে রেখেছে। পরে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসারত অবস্থায় সকাল ৭টায় তিনি মারা যান।