ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত রহিত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
একই সাথে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৫’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ২০০৩ সালে (মরণোত্তর) প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কার সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের পটভূমিতে ২০১৬ সালে সরকার বাতিল করে, ওই রায়ে তাকে প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের কোনও নির্দেশনা না থাকায় মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অসাধারণ অবদান বিবেচনায় তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের ওই সিদ্ধান্ত সরকার রহিত করেছে।
একই বিজ্ঞপ্তিতে যে সাতজনকে এবার স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে তারা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর, প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ।
ওসমানীর নাম না থাকার কারণ জানালো সরকার
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে স্বাধীনতা পদকের জন্য প্রাথমিকভাবে আলোচনা করা হলেও পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কারণ জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
স্বাধীনতা পদকের জন্য মঙ্গলবার যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে জেনারেল ওসমানীর নাম না থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা তৈরি হয়।
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “জেনারেল ওসমানী ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। চলতি বছরে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আলোচনা করেছিল। তবে কোনো বাংলাদেশি এর আগে একাধিকবার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়ার নজির না থাকায় এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়েছে।”