ঢাকা: বিএনপিতে আছি, বিএনপিতেই থাকবো। বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি'র হয়েই নির্বাচনে অংশ নেব। বুধবার সকালে বনানী বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম।
অন্য কোনো দলে অংশ নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর হাফিজ বলেন, “বিএনপি যদি নির্বাচন করে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবো। এছাড়া অন্য কোনো বক্তব্য নেই। বিএনপিতে আছি, বিএনপিতেই থাকবো বলে আশা করি।”
তিনি বলেন, “আমি মনে করি আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নেয়া উচিত। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবো না। শিগগিরই রাজনীতি থেকে অবসর নেব। সেটা বিএনপি থেকেই অবসর নিতে চাই।” এছাড়া চিকিৎসার জন্য শিগগিরই বিদেশ যাবেন বলে জানিয়েছেন মেজর হাফিজ।
তিনি বলেন, “৮০ আসন দেওয়ার ব্যাপারে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হয়েছিল বলে শুনেছি। সেই ৮০ আসনের তালিকাতেও আমি ছিলাম না।”
বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী মেজর হাফিজ বলেন, “বিএনপির রাজনীতিতে আমি গুরুত্বহীন ব্যক্তি। আমি কোনো নতুন দল করছি না। এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।”
তিনি বলেন, “আজগুবি ১১ অভিযোগে বিএনপি তাকে শোকজ করেছিল। ৩১ বছর দলটির রাজনীতি করার পর তার বিরুদ্ধে আজগুবি অভিযোগ আনা হয়েছিল।”
মেজর হাফিজ বলেন, “২৩ বছর ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, আমার সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছে, তারা এখন আমার চেয়ে ওপরের পদে।”
তিনি বলেন, অসুস্থার কারণে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়, রাজনীতিতে আর আগ্রহ নাই। জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুতির কারণে বিএনপির বর্তমান এই পরিণতি।
এই নেতা বলেন, “বিএনপিতে খালেদা জিয়ার সামনে সত্য বলার কেউ সাহস পায় না, শুধু সাইফুর রহমান বলতেন।”
মেজর হাফিজ দল গঠন করছেন এমন আলোচনা রাজনীতিতে আলোচনায় আছে। তবে আজ তিনি নিজেই জানিয়ে দিলেন নতুন দল গঠন করছেন না। এমনকি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণও করবেন না। বিএনপির এই নেতা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করেছেন আলোচনা করে নির্বাচনের সুস্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে।
বিএনপিতে সংস্কার আনতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাফিজ বলেন, “এভাবে কোনো দল চলে না। বিএনপিতে কমিটি বাণিজ্য, একনায়কতন্ত্র, ত্যাগীদের মূল্যায়ন না করা, পকেট ভারি করা বন্ধ করতে হবে।”