উচ্চ শিক্ষা থেকে শুরু করে পর্যটন -আগামী দিনে আরো কঠিন হবে কানাডা যাত্রা? ভারতীয়দের ভিসা দেওয়া বন্ধ করবে জাস্টিন ট্রুডো সরকার? কূটনৈতিক জট না কাটায় সেই সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
সম্প্রতি ভারতে কর্মরত কূটনীতিকের সংখ্য়া কানাডাকে কমাতে বলেছে নয়াদিল্লি। ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৪১ জন কূটনীতিককে দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে মোদি সরকার।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এদেশের কানাডার কনস্যুলেটে কূটনীতিকের সংখ্যা কমে গেলে ভিসা পরিষেবায় প্রভাব পড়বে। কানাডার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। ফলে আগামী দিনে অটোয়া, টরেন্টো বা ভ্যাঙ্কুভার যাত্রায় বড় সড় কোপ পড়তে চলেছে বলে জানিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, ভারতে কানাডিয়ান হাই কমিশনের কার্যালয় রয়েছে নয়া দিল্লিতে। এছাড়া বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড় ও মুম্বাইতে রয়েছে কনস্যুলেট অফিস। প্রতি বছর উচ্চ শিক্ষা নিতে এদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ছেলে-মেয়ে পাড়ি দেয় কানাডায়। অনেকে যান কাজের সন্ধানে। ভারতীয় তথ্য়-প্রযুক্তি সংস্থাগুলি তাদের যে কর্মীদের কানাডায় পাঠান, ভিসা পেতে দেরি হলে সমস্যার মুখে পড়বেন তারাও।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে কানাডায় কর্মরত ভারতীয় কূটনীতিকের সংখ্যা মাত্র ৩০। সেখানে এদেশে প্রায় তিন গুণ কানাডিয়ান কূটনীতিক রয়েছেন। সংখ্য়ার এই তারতম্যে আপত্তি রয়েছে নয়াদিল্লির। তাই সমসংখ্যক কূটনীতিক রাখার কথা বলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
গত সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি জানিয়েছেন, “কানাডার বেশ কিছু কূটনীতিক ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন। তা ছাড়া কম কূটনীতিক দিয়েই কনস্যুলেট চালাতে হবে অটোয়াকে।” কূটনীতিকের সংখ্য়া কমানো না হলে কনস্য়ুলেট বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে নয়াদিল্লি।
চলতি বছরে একাধিকবার খালিস্তানপন্থীদের তাণ্ডবে উত্তপ্ত হয়েছে কানাডা। ভারতীয় দূতাবাস ও কনস্য়ুলেটে ঘটেছে হামলার ঘটনা। এরপর কানাডিয়ানদের জন্য ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে নয়া দিল্লি।
চলতি বছরের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারে এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জর। এই খুনের পিছনে ভারতীয় গুপ্তচরদের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন ট্রুডো। - সংবাদমাধ্যম